আশঙ্কা ছিলই। আর তা সত্যিও হল। মনে করাই হয়েছিল সোমবার বাজার খুললেই এক ভয়াবহ ধস নামতে পারে দালাল স্ট্রিটে আর তাই হল। মুখ থুবড়ে পড়ল সেনসেক্স
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ভয় শুরু হয়েছিল তাহলে কি ফের ১৯৮৭ সালের ব্ল্যাক মানডের স্মৃতি ফিরবে? আবার শেয়ার বাজারে নামবে বিরাট ধস? বাজার খুলতেই সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু বিশ্ববাজারে। দেখা যাচ্ছে চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স পড়েছে ৪.২১ শতাংশ। জাপানের নিক্কেই সূচক পড়েছে ৭ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণের একই ছবি ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই মারাত্মক ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।
এদিন শেয়ার বাজার খুলতেই ৩,০৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭২,২৯৬.৫১ এর ঘরে এসেছে সেনসেক্স। এদিন মুহূর্তে ভারতের শেয়ার বাজার গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। লেনদেন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনসেক্স ৩,৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট কমে ৭১,৪২৫.০১ দাঁড়ায়। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণেই শেয়ার বাজারে এই রক্তক্ষরণ। শুধু দালাল স্ট্রিট নয়, রক্তাক্ত সমগ্র এশিয়ার স্টক মার্কেটই।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য অনেকেই হয়তো জানেন না কি এই ব্ল্যাক মানডে?
১৯৮৭ সালের ১৯ অক্টোবর ছিল এমনই এক ধসের সোমবার যেদিন বিশ্ব শেয়ার বাজারে নেমে আসে এযাবৎ কালের ইতিহাসের অন্যতম বড় ধস। মাত্র একদিনেই ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক ২২.৬ শতাংশ পড়ে যায়। ভয়াবহ সেই পতনের পিছনে ছিল প্রোগ্রাম ট্রেডিং, বাজারের অতিমূল্যায়ন, বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কে বিক্রি। আবারও সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে হবে? চিন্তায় বিনিয়োগকারীরা।