এগিয়ে এল গরমের ছুটি। চলতি বছর ৩০ এপ্রিল থেকে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রা। এপ্রিল-মে মাসে আরও গরম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। তাই ছাত্র -ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে গতবারের মত এবারও এগিয়ে এল ছুটি। ১২ মে- এর পরিবর্তে ৩০ এপ্রিল থেকে পড়ছে গরমের ছুটি। বৃহস্পতিবার সেকথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি বছর গরমের ছুটি ১১ দিন দেওয়া ছিল। অর্থাৎ ১২মে থেকে ২৩ মে লেখা আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ৩০ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি থাকবে।
গতবারও পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আসে গরমের ছুটি। মুখ্যমন্ত্রী আদেশ অনুসারে গতবছর ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষাদফতর। সাধারণত মে মাস থেকে শুরু হয় গরমের ছুটি। তবে তীব্র গরমের জেরে স্কুলে আসতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষক ও কর্মী সকলকেই। সেই কারণে তাঁদের কথা বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছছে ৩৫ ডিগ্রির আসেপাশে । তাপমাত্রার পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী হবার আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতা নয় দক্ষিণবঙ্গে কমবেশি প্রায় সব জেলাতেই বাড়বে তাপমাত্রা। গতবারের মত পরিস্থিতি এবারও হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই আগে থেকেই এনিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার। তাই এবার আগে থেকেই স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করা হল। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি- সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, “আজ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় হঠাৎ ঘোষণা করেন আগামী ৩০শে এপ্রিল থেকে স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়বে। উনি এতো আগে থেকে বুঝতে পারলেন কি করে যে সেই সময় খুব গরম থাকবে এবং তার জন্য ছুটি দিতে হবে!আসলে ২৬হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর উনি বুঝতে পেরেছেন আর স্কুল চালাতে পারবেন না। তাই এতো আগে ভাগে ছুটি ঘোষণা। এভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে শেষ করে দেবেন উনি।”