অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৮ শিশু, রয়েছে মহিলাও। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে গুলজার হাউস নামক বহুতলে আগুন। এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৮ শিশু, রয়েছে মহিলাও। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। আগুন লাগার ৪০ মিনিটের মধ্যে দমকল পৌছলেও হায়দরাবাদের ওই এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকলের ওই বহুতলে ঢুকতে বেগ পেতে হয়। বহুতলটিতে বাণিজ্যিক সংস্থা থাকলেও আবাসিক হিসাবে থাকতো বেশ কয়েকটি পরিবার। ওই বহুতলেই তাঁদের দোকান। আগুন লাগার পর ভিতরে আটকে যায় বহু মানুষ। ঝলসে পুড়ে মারা যায় ১৭ জন। বাকি প্রায় ২০-২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের নিরাপদে বাড়ি থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। বহুতলে ঢোকার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলের ঢুকতে সমস্যা হয়। দমকল ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ ও স্থানীয় থানা যায় ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় বিধায়কও যান পরিদর্শনে। কী কারণে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।নয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ওই এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলেই আগুন লাগে। বাড়িটির নীচে দামি অলঙ্কারের বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। এই ব্যবসায়ীদের পরিবারই থাকতেন বাড়িটির উপরতলায়। এই ঘটনায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সমবেদনা জানান এবং বিপর্যস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা দেন। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ফোনও করেন তিনি। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।