মঙ্গলবারের পর বুধবার। শুধু জঙ্গি ঘাঁটি নয়, এবার ড্রোন হামলার ভয়ে ভীত পাকিস্তানের একের পর এক শহর। তালিকায় রয়েছে করাচি, লাহোর, গুজরাণওয়ালা, রাওয়ালপিন্ডি সহ মোট ১২ টি জায়গা। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকারোক্তি পাক সেনার মুখপাত্র লেঃ জেনারেল আহমেদ শরীফের।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বুধবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই খবর আসতে শুরু করে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বড় শহর লাহোরে একাধিক বিষ্ফোরণ হয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম খবর করে লাহোরে অন্তত তিন থেকে চারটে বিষ্ফোরন হয়েছে। জানা যায় লাহোরের আকাশের খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া কয়েকটি ড্রোন কে গুলি করে নামানোর সময় সেগুলিতে বিষ্ফোরণ হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু লাহোর নয়, পাকিস্তানের আরো বেশ কিছু শহরের আকাশেও এই ধরনের ড্রোনের খবর পাওয়া গিয়েছে।
পাকিস্তানের ডিজি আইএসপিআর (DG, Inter-services Public Relations) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ কিছুক্ষণ আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “মঙ্গলবার মধ্য রাতের হানার পর বুধবার রাতেও হানাদারি চালিয়েছে ভারত।” ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বেশ কাঁদো কাঁদো গলায় তাকে বলতে শোনা যায়, “গত রাতেও ভারত পাকিস্তানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে (multiple locations) ড্রোন হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা, যারা অত্যন্ত সজাগ ছিলো, তার এখনও পর্যন্ত ১২ টি ড্রোন কে নিষ্ক্রিয় করেছে। যেসব শহরে এই ড্রোনের হামলা হয়েছে সেগুলি হলো লাহোর, গুজরাণওয়ালা, শাকোয়াল, রাওয়ালপিন্ডি, আট্টারি, বাহওয়ালপুর, মিয়ানো, করাচি প্রভৃতি।” ড্রোন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিতে গিয়ে ডিজি আইএসপিআর বলেন, “লাহোরের একটি মিলিটারি লোকেশনে এই ড্রোন হামলায় চারজন পাক সেনা আহত হয়েছে এবং কিছু ইক্যিউপমেন্টের (equipment) অল্পবিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।” এছাড়াও সিন্ধ প্রদেশের মিয়ানো তে এই ড্রোন হামলায় এক জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও আরেকজন ঘায়েল হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহমেদ শরীফ। এই ড্রোন হামলা নিয়ে পাকিস্তান সরাসরি ভারতকে দায়ী করলেও এখনো পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয় নি।