সকাল থেকেই লড়াই শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনার সঙ্গে জঙ্গীদের। জানা গিয়েছিল কুলগাঁও এলাকায় লুকিয়ে আছে জঙ্গীরা। সেই মত তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারত। এবং তার পর সেখান থেকে অভিযান গিয়ে পৌঁছয় সোপিয়ানে। এবং সেখানেই তিন জঙ্গী নিকেশ হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো তল্লাশি অভিযানে বেরয় ভারতীয় সেনা। কিন্তু তারপরই বিপত্তি। মুখোমুখি জঙ্গীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গুপ্তচরদের থেকে খবর পেয়ে কাশ্মীরের সোপিয়ানের সুকরু কেল্লরে তল্লাশি অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। সেখানেই লুকিয়ে ছিল এক দল সন্ত্রাসবাদী। যাদের হদিশ পেতেই গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রাণ বাঁচাতে সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসবাদীরাও।
কিন্তু ভারতের দিক থেকে আসা গুলিকে সামলানোর ক্ষমতা ছিল না তাদের। তাই পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে ফের মরিয়া হয়ে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গীরা। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আরও কেউ লুকিয়ে আছে কিনা তা জানতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বাহিনী।
পহেলগাঁও হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। তবে ওই হত্যালীলায় জড়িত কোনও জঙ্গী এখনও ধরা পড়েনি বলেই খবর। এই আবহেই গত মঙ্গলবার রাতে শুরু হয় ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গীঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে কাশ্মীর উপত্যকায় এটিই প্রথম উল্লেখযোগ্য জঙ্গীদমন অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর।