২৩ জনকে ফাঁকি দিয়ে নিজেই মৃত প্রপিতামহ সেজে স্বাক্ষর জাল করে দীনবন্ধু। কেউ কিছুই টের পায়নি। নথি সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।
মিলন কর্মকার, সাংবাদিক, বাঁকুড়া- সিভিকের মহান কীর্তি। এ যেন জোর যার মলুকু তার। ৪৩ বছর আগে মৃত প্রপিতামহের নামে থাকা শরিকি জমি নিজের নামে করা ফেলার অভিযোগ বাঁকুড়ার সিভিক দীনবন্ধু কারকের বিরুদ্ধে। কথায় রয়েছে দুষ্টের ছলের অভাব হয়না। দীনবন্ধুও তাই করেছে। জমি হাতিয়ে তা আবার নিজের স্ত্রীর নামে করেছে সে। মূল গল্পটা হল বাঁকুড়া পাত্রসায়রের মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন রামকৃষ্ণ কারক। ১৯৮২ সালে জুন মাসে তিনি গত হন। তাঁর মালিকাধীন ১ একর ১৯ শতক জমি তাঁর দুই ছেলের নামে রেকর্ড করা হয়নি। বর্তমানে নাতি,নাতনি ছেলে মিলিয়ে মোট শরিক ২৩ জন। এই ২৩ জনকে ফাঁকি দিয়ে নিজেই মৃত প্রপতিমহ সেজে স্বাক্ষক জাল করে দীনবন্ধু। কেউ কিছুই টের পায়নি। নথি সামনে আসতেই চক্ষুচড়কগাছ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।সম্প্রতি ওই জমির উপর দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। আর তাতেই কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে কেউটে।
জমির কাগজ বার করতেই সামনে আসে সত্যি। কীভাবে তাঁদের ফাঁকি দিয়ে আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে জাল নথি তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য শরিকরা।এখানেই শেষ নয় দীনবন্ধুর কীর্তি আরও আছে। তার কাজে বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সে। এমনটাই অভিযোগ অন্যান্য শরিকদের।অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এখন দেখার সিভিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। কিন্তু প্রস্নটা কেন আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন সিভিকরা। পাঁশকুড়ার ছাত্র আত্মহত্যাকাণ্ডে নাম জড়ডিয়েছে সিভিকের। ফের বাঁকুড়া। আইনের রক্ষা করার বদলে রক্ষক হয়ে উঠছে কেন সিভিকরা।