২০২৩ সাল থেকে এই অপরাধে যুক্ত সে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক ছিল এবং নিত্য যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানা যায়। মোতি রামকে ইতিমধ্যেই জেরা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ট্রাভেল ভ্লগারও। এবার গ্রেফতারী তালিকায় নজিরবিহীন নাম মোতি রাম জাঠ। পেশায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের জওয়ান তিনি। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য পাচার করছিল অভিযুক্ত জওয়ান। এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA গ্রেফতার করে তাকে। পাক গোয়েন্দাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করত মোতি রাম বলে অভিযোগ। ২০২৩ সাল থেকে এই অপরাধে যুক্ত সে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক ছিল এবং নিত্য যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানা যায়। মোতি রামকে ইতিমধ্যেই জেরা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আগামী ৬ই জুন পর্যন্ত অভিযুক্তকে এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। দিল্লি থেকে গ্রেফতারের পরই মোতি রামের জেরা শুরু হয়। জেরায় একাধিক তথ্য জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত কীভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, কোনও তথ্য শেয়ার করেছে কি না, করলেও কি কি তথ্য এখনও পর্যন্ত শেয়ার করেছে। কত টাকার বিনিময়ে হয়েছে এই তথ্য শেয়ার। কীভাবে টাকা পাঠাতো পাকিস্তান, আর কে বা কারা জড়িয়ে এই ঘটনায় তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পরই ধৃতকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে একযোগে সিআরপিএফ নিজেদের কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপের উপর নজরদারি শুরু করেছিল। সেই সময়ই এই ঘটনা নজরে আসে যে তাদের এক জওয়ান নিয়ম ভেঙেছে। আরও তদন্তের জন্য ওই ব্যক্তিকে জেরা করছে NIA। ভারতীয় সংবিধানের প্রাসঙ্গিক বিধান এবং সিআরপিএফ বিধি অনুযায়ী, ধৃতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।