২০২৫-এর ৩০শে জুন থেকে ২৫শে অগাস্ট পর্যন্ত চলবে কৈলাস-মানস যাত্রা। ভারতের ভূ-খণ্ডের উত্তরাখণ্ড ও সিকিম হয়ে এই যাত্রা শেষ হবে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- কোভিড কালে ২০২০ সালে করোনার বাড়বাড়ন্ত এবং ভারত-চিন সীমান্তে অসন্তোষের জেরে বন্ধ ছিল কৈলাস যাত্রা। পুরান মতে মহাদেবের বাসস্থান কৈলাস পর্বত। হিন্দু ধর্মের মানুষ তো আছেই, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মানুষের কাছেও ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্র কৈলাস। কৈলাস যাত্রায় মানস সরোবর অন্যতম পবিত্র স্থান। কথিত আছে, এই সরোবর ব্রহ্মার দ্বারা সৃষ্টি এবং এই হ্রদে স্নান করলে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। ভারত ও চিন সরকারের আলোচনার পর চলতি বছর জুন মাস থেকে শুরু হবে কৈলাস যাত্রা। ২০২৫-এর ৩০শে জুন থেকে ২৫শে অগাস্ট পর্যন্ত চলবে কৈলাস-মানস যাত্রা। ভারতের ভূ-খণ্ডের উত্তরাখণ্ড ও সিকিম হয়ে এই যাত্রা শেষ হবে। তবে এই যাত্রা কীভাবে করা যাবে বা তার খরচ কত হতে পারে তার একটা ধারণা এই প্রতিবেদনে দেওয়া হল।
কৈলাস- মানস যাত্রার জন্য ভারতের বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যিক। এটাই প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা। ধর্মীয় কারণে কৈলাস-মানস ভারতের পর্যটকদের জন্য সহজেই যাওয়া যাবে। কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য ভারত থেকে দুটি রুট রয়েছে। একটি লিপুলেখ পাস এবং অন্যটি নাথু লা দরগাহ হয়ে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার জন্য আগে লিপুলেখ রুট দিয়ে ২০ থেকে ২১ দিন সময় লাগত, যদিও এই বছর এই রুটে ২৩ দিন সময় লাগবে এবং নাথু লা থেকে যাত্রা করলে ২৫ দিন সময় লাগবে। কারণ পর্যটকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য এই বছর বিদেশ মন্ত্রক দিল্লিতে ৩ দিন থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ২০২৫ সালে লিপুলেখ পাস হয়ে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার জন্য জনপ্রতি খরচ হতে পারে প্রায় ১.৭৪ লক্ষ টাকা। নাথু লা পাস দিয়ে গেলে খরচ একটু বেশি। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি খরচ হতে পারে ২.৮৩ লক্ষ টাকা। এই বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রায় মাত্র ২৫০ জন যেতে পারবে। এই ২৫০ জনকে ৫ টি দলে ৫০ জন করে ভাগ করে দেওয়া হবে। দিল্লি থেকে শুরু হয়ে দিল্লিতেই শেষ হবে যাত্রা।