বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় উত্তপ্ত হয় বিকাশ ভবন। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি চরমে ওঠে রাতে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন এক চাকরিপ্রার্থী। উল্টে মামলা দায়ের হয় তাদের বিরুদ্ধেই। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের ওপরেই কার্যত সব দায় ঠেলল পুলিশ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বসে ADG, Law and order জাভেদ শামীম এবং ADG south bengal সুপ্রতিম সরকার সাফ জানান আন্দোলনকারীরাই প্রথম বেআইনি কাজ করেছে পুলিশ নয়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সামান্য বলপ্রয়োগ করেছে শুধুমাত্র।
জাভেদ শামীম জানান, চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা গত ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। সেটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল বলে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি পুলিশের তরফে। পুলিশ এতদিন তাদের প্রতি সংবেদনশীল মনোভাব দেখিয়েছে তবে গতকাল বিকাশ ভবনের অনেক কর্মীরা আটকে গিয়েছিল। পুলিশকে ৭ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি বিকাশ ভবনে ৫৫ টি সরকারি অফিস আছে, ৫০০-৬০০ কর্মী আছে। একজন সন্তানসম্ভবা ছিলেন। একজনের বাড়িতে মা অসুস্থ ছিলেন, তার মাকে ঠিক সময়ে ওষুধ দেওয়ার বিষয় ছিল। তারপরও আন্দোলনকারীদের একাংশ তাদের ছাড়েননি।
জাভেদ শামীম জানান এই গোটা বিষয়টাই তাদের কাছে রেকর্ড আছে। আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গিয়ে ৫০০-৬০০ লোককে সারারাত আটকে রাখা যায় না। এবং সেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন থাকেনা তাই যারা আটকে ছিল তাদেরকে বের করার সময় একটু বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে পুলিশের তরফে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ১৯ জন পুলিশ কর্মী আহত। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে পুলিশের তরফে এমনটাই জানানো হয়। এরপরই করা হয় সেই বিস্ফোরক উক্তি, “প্রথম বেআইনি কাজটা আন্দোলনকারীদের তরফে করা হয়েছে।” পুলিশের অভিযোগ বিকাশ ভবনের গেট ভাঙা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার মতো অন্যায় করেছেন আন্দোলনকারীরা।