পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা (ISI)-এর গুপ্তচর সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। ধৃতরা সাধারণ মানুষের ভিড়ের মধ্যে মিশে নজর রাখছিল সেনার গতিবিধির উপর। নজর এড়িয়ে লুকিয়ে তুলছিল সেনা ছাউনির ছবি। সুযোগ বুঝে সেই সব স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- রাজস্থানের পর এবার পঞ্জাব। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা (ISI)-এর গুপ্তচর সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। ধৃতরা সাধারণ মানুষের ভিড়ের মধ্যে মিশে নজর রাখছিল সেনার গতিবিধির উপর। নজর এড়িয়ে লুকিয়ে তুলছিল সেনা ছাউনির ছবি। সুযোগ বুঝে সেই সব স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানে। অমৃতসর থেকে লাহোর মাত্র এক ঘন্টার পথ। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সেনাবাহিনীর দৃশ্যমানতা অনেকটা বেশি ওই এলাকায়। ফলে তাঁদের গতিবিধির সবাইটাই ছবি ভিডিও করা হচ্ছিল বলে জানা যাচ্ছে। বিষয়টি অমৃতসর পুলিশের নজরে আসে। অবশেষে অমৃতসর পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI)-এর ছক। গ্রেফতার করা হয় পলক শের মসীহ ও সুরজ মসীহ নামে দুই ব্যক্তিকে। সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে থেকে পাকিস্তানের চরবৃত্তি করছিল ধৃতরা। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরকারি গোপনীয়তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে অমৃতসর পুলিশ। পলক ও সুরজের যোগাযোগ ছিল জেলবন্দি আমেরিকার জঙ্গি হরপ্রীত সিং ওরফে পিট্টু ওরফে হ্যাপির সঙ্গেও। হ্যাপি আইএসআই ও বাব্বার খালসা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে এক যোগে নাশকতামূলক কাজ করত। হ্যাপি বর্তমানে অমৃতসর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। সে কোন কোন কাজে পলক-সুরজকে সাহায্য করেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকার ছবি তুলেছে পলক-সুরজ বলে তাদের মোবাইল থেকে জানা গেছে। ফলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে গোয়েন্দাদের। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঠান খান নামে এক ব্যক্তিকে। এবার পঞ্জাব থেকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।