এই ভয়াবহ গরমে সাধারণ মানুষের অবস্থা যেখানে নাজেহাল পশুপাখিদের অবস্থাও যে তথৈবচ হবে তা তো বলাই বাহুল্য। আলিপুর চিড়িয়াখানায় নজর রেখেছিল আর প্লাস নিউজ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: কেমন আছে পশুপাখিরা জানতে চিড়িয়াখানার অন্দরমহলের ঢু মেরেছিল আর প্লাস দেখা গেল সেখানেও সকলের হাল বেহাল। এই চড়া রোদ তীব্র গরমে জেরবার তারাও। মানুষের মত তারাও বলছে বৃষ্টি কবে আসবে?
এই ভয়াবহ গরমে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে আবাসিকদের। গরমের জ্বালা কমাতে ভল্লুক, ক্যাঙারুদের ঘরে এখন চলছে এয়ার কুলার। ফ্যানের হাওয়ায় ঘুমাচ্ছে বাঘ-সিংহ। টকদই, লস্যি খাচ্ছে শিম্পাঞ্জি। পাখি ও সাপের ঘরে স্প্রিংকলার দিয়ে ছেটানো হচ্ছে জল।
এই তীব্র বদলে দেওয়া হয়েছে পশুপাখিদের ডায়েট চার্ট। কমানো হয়েছে বাঘ-সিংহদের মাংসের পরিমাণ। শিম্পাঞ্জিদের বেশি করে শসা, তরমজু দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে ফ্রুট জুস, লস্যি, টকদই থাকছে। ওআরএস জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে সমস্ত খাঁচায়। হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে পশুপাখিদের তাই তাদের রোজ স্নান করানো হচ্ছে।
প্রতিবছরেই এই তীব্র গরমের সময় চিড়িয়াখানায় দর্শকসংখ্যা খুব কম থাকে। তবু হাতে গোনা কিছু দর্শক এলেও এই দাবদাহে ঘর ছেড়ে বের হতে নারাজ চিড়িয়াখানার সদস্যরা। খাঁচার সামনে গিয়ে দর্শকরা হাঁকডাক করলেও তারা সাড়া দিচ্ছে না। সকালের দিকে স্নান করে সেই যে ঘরে ঢুকে পড়ছে তারা আর ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দহন জ্বালা একেই বলে!