হাতের কাছে অ্যালোভেরা জেল থাকতে অন্য কিছুর খোঁজ কেন? অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চুল হোক বা ত্বক, সমাধান সূত্র লুকিয়ে আছে অ্যালোভেরা জেলে। প্রাকৃতিক এই উপাদানকে দৈনন্দিন সঙ্গী করলে সব সমস্যা নিমেষেই দূর হতে পারে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বর্ষা রাজ্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। বর্ষা এলেই দেখা দেয় চুল ও ত্বকের নানান সমস্যা। কারও চুল উঠে যাচ্ছে তো কারও গালে ব্রণতে ভরে যাচ্ছে। হাজারো সমস্যার জন্য বহু মানুষ কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন বা কোন হেয়ার প্রোডাক্ট লাগাবেন, এই নিয়ে ইন্টারনেটে, পত্র-পত্রিকায় খোঁজ চলতেই থাকে।কারও উপদেশে পণ্য কেনেন তো আবার ইন্টারনেটে রিভিউ দেখে চলে কেনা-কাটি। তবে হাতের কাছে অ্যালোভেরা জেল থাকতে অন্য কিছুর খোঁজ কেন? অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চুল হোক বা ত্বক, সমাধান সূত্র লুকিয়ে আছে অ্যালোভেরা জেলে। প্রাকৃতিক এই উপাদানকে দৈনন্দিন সঙ্গী করলে সব সমস্যা নিমেষেই দূর হতে পারে। কীভাবে এই ভেষজ পণ্যকে ব্যবহার করা যায়, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
ত্বকে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা-
অ্যালোভেরা পাতা থেকে নির্যাস বের করে নিন। এই উপাদানটি মুখে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পরিস্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এই ভাবে মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখা যেতে পারে। রাতে মুখে অ্যালোভেরা জেল মেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ত্বকের প্রদাহ, জ্বালা ভাব, চুলকানি, ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে। সানবার্নের হাত থেকে রক্ষা করে অ্যালোভেরা জেল।
চুলে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা-
তাজা অ্যালোভেরা জেল চুল ও স্ক্যাল্পে ভাল করে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এছাড়া নিজের পছন্দের যেকোনও হেয়ার মাস্কে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু চুল ধোয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে মাথায় যেন অ্যালোভেরা জেল অবশিষ্ট না থাকে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি হয়। শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান মেলে। দু’মুখো চুলের সমস্যা মেটে। খুশকি দূর করে, স্ক্যাল্পের চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে।