আকাশে বাড়বে ভারতের দাপট। শত্রুপক্ষের ড্রোন হামলা রুখতে দেশেই তৈরি হল এই অস্ত্র যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভার্গবাস্ত্র’। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের মঙ্গলবার সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়েছে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে প্রথম দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি মাইক্রো-মিসাইল সিস্টেম। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভার্গবাস্ত্র নামক ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে আগামীদিনে। এর দ্বারা যে আরও শক্তিশালী হল ভারত তো বলাই বাহুল্য।
ভার্গবাস্ত্র তৈরি করেছে সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড। এটি তৈরির খরচ খুব বেশি নয়, হার্ড কিল মোডের সাহায্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন আক্রমণ ঠেকিয়ে দিতে পারবে এই সিস্টেম। ১৩ মে ওড়িশার গোপালপুরে সিওয়ার্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ভার্গবাস্ত্রের পরীক্ষা হয়। আর্মি এয়ার ডিফেন্স-এর শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তিনটি ট্রায়ালে সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছে ভার্গবাস্ত্র সিস্টেমের মাইক্রো রকেটগুলি। প্রথম দুটি ট্রায়ালে উৎক্ষেপণ করা হয় একটি করে রকেট। তৃতীয় ট্রায়াল হয়েছে স্যালভো মোডে অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি রকেট ছোড়া হয়। চারটি রকেটই নিজেদের অভীষ্ট্য লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আকাশপথে হামলায় ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা শক্তিশালী করল ভার্গবাস্ত্র।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সন্দেহজনক ড্রোনের গতিবিধি শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে এই ভার্গবাস্ত্রের। যে কোনও ছোট মাপের ড্রোন শনাক্ত করে সেগুলি ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এগুলির। এর সিস্টেমে ৬৪টিরও বেশি ছোট ক্ষেপণাস্ত্রের একযোগে উৎক্ষেপণের ক্ষমতা রয়েছে। ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড এই মোবাইল প্ল্যাটফর্ম-নির্ভর সিস্টেম ডেভেলপ করছে, যে সব জায়গা নিয়ে চিন্তা আছে সেখানে দ্রুত মোতায়েন নিশ্চিত করা হবে। এর নকশা এমন করা হয়েছে যার অপারেশন সম্ভব উচ্চতাসম্পন্ন অঞ্চল-সহ বিভিন্ন ভূখণ্ডে। নির্দিষ্ট সামরিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।