ইপিএল জয়ের আনন্দ মুহুর্তে বদলে গেল আর্তনাদে। লিভারপুলের বিজয়যাত্রায় ঘটে গেল এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ট্রফি নিয়ে মিছিল চলাকালীন আচমকা দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি এসে পরপর অন্তত ৫০ জনকে ধাক্কা মারে। সবমিলিয়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয় ইপিএল চ্যাম্পিয়নদের বিজয় শোভাযাত্রা ঘিরে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: এই বারের প্রিমিয়ার লিগের খেতাব জয় করেছে লিভারপুল। আর সেই জয় উদযাপন করতে সোমবার বিকেলে হুডখোলা বাসে ‘রোড শো’ করেন লিভারপুলের ফুটবলার, কোচ এবং অন্য সদস্যেরা। বিকেল সাড়ে ৫টার কিছু পরে শহরের রয়্যাল লিভার ভবনের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় লিভারপুল দলের হুডখোলা বাস। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রয়্যাল লিভার ভবনের অদূরে ওয়াল স্ট্রিটে লিভারপুল সমর্থকদের উপর এই হামলা হয়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমর্থকদের ভিড়কে ধাক্কা দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছে একটি গাড়ি। গাড়ির সামনের অংশে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ছেন লিভারপুল সমর্থকেরা। কিছু দূর গিয়ে গাড়িটি থামার পরেই চার দিকে থেকে উত্তেজিত জনতা ঘিরে ধরে সেটিকে।
জয়ের খুশি মুহূর্তে রুপান্তরিত ভয়ে, চিৎকারে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে পুলিশ। আহতদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িটির চালককে আটক করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি ৫৩ বছর বয়সি, শ্বেতাঙ্গ, ব্রিটিশ নাগরিক এবং লিভারপুলের বাসিন্দা।ঘটনাটির সঙ্গে কোনভাবে সন্ত্রাসমূলক হামলা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে—
“ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা না করতে এবং অনলাইনে কোনো রকম মর্মান্তিক ভিডিও বা ছবি না ছড়াতে।” সহকারী চিফ কনস্টেবল জেনি সিমস একে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় দমকল বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, ওই গাড়ির নীচে এক শিশু-সহ চার জন চাপা পড়ে ছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা এবং কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আহতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।