কোন নিয়ম মানলে ডায়াবেটিস রোগীরা নির্ভয়ে আম খেতে পারবেন?

ফলের রাজা আম। আম স্বাদে, গন্ধে যেমন মন ছুঁয়ে যায় তেমনই এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এরমধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণ ও ভরপুর। তবে আমে প্রচুর পরিমানে শর্করা থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আম ক্ষতিকারক। কি উপায়ে আম খেলে ডায়বেটিস রোগীদের কোনও ক্ষতি হবে না। জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে জাতীয় ফল আম অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল। গ্রীষ্মকাল এলেই এমন কোনও বাড়ি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন যেখানে আম খাই না। আম স্বাদে, গন্ধে যেমন মন ছুঁয়ে যায় তেমনই এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এরমধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণ ও ভরপুর। যেমন রয়েছে ভিটামিন সি, এ,পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক তেমন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালোরি। আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকার কারণে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভয় পান পাকা আম খেতে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ কিছু নিয়ম মেনে যদি এই ফল খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের কোন বিপদ হবে না।

ঠিক কি কি নিয়ম মেনে আম খেলে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আম বিপদজনক ফল হবে না। একনজরে পড়ে নেওয়া যাক সেই নিয়ম গুলি। একসঙ্গে অনেটা আম একবারে না খেয়ে অল্প করে আম ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত। অর্থাৎ একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, যা প্রায় একটি ছোট আম বা অর্ধেকটা মাঝারি আকারের আমের সমান। এতে দেহে শর্করার পরিমাণ বাড়বে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ শুধুমাত্র ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরাই নন যে কোন মানুষই যদি এভাবে আম খান তাহলে তার শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়বে না।

যখন কোন ডায়াবেটিক রোগী খাবেন তখন আম খাওয়ার সময় অন্য কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- ভাত, রুটি, ইত্যাদি কম করে খাওয়া উচিত। এতে শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাকা আম ও কাঁচা আমের মধ্যে মূল পার্থক্য হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। পাকা আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পাকা আম খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আম খাওয়া উচিত ।

ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে যাতে থাকে, তার জন্য আমখাওয়ার পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- শাকসবজি, শস্য এবং প্রোটিন খাওয়া উচিত। তাহলে শরীরে আমের মধ্যে অবস্থিত শর্করার তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মত চিকিৎসকদের। এই সমস্ত নিয়ম মেনে আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা নির্ভয়ে আম খেতে পারবেন।