কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ ভার্মার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী লক্ষ্মীকান্ত মন্ডল নজির গড়েছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে। শুক্রবার কলকাতায় ফিরলে বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান স্বয়ং নগরপাল। রাতটা কলকাতায় কাটিয়ে শনিবার সকালেই তিনি চলে এলেন গ্রামের বাড়িতে। গ্রামে তখন উৎসবের মেজাজ।
সেলিম আহমেদ, পূর্ব মেদিনীপুর- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মথুরি গ্রামের ছেলে লক্ষীকান্ত মন্ডল। সদ্য পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখর এভারেস্টে পা রেখেছেন তিনি। গত সোমবার সকাল আটটা কুড়ি নাগাদ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন পেশায় কলকাতা পুলিশের কর্মী লক্ষীকান্ত মন্ডল। ‘লক্ষী’র এই গৌরবের খবর জানার পরেই খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছে গোটা গ্রামে। অপেক্ষা ছিল কবে গ্রামে ফিরবেন তাদের সোনার ছেলে। শুক্রবার কলকাতায় ফেরার পর কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে লক্ষীকান্তকে অভিনন্দন ও সংবর্ধনা জানানো হয়।
শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ঐতিহ্য প্রাচীনে যে তমলুক শহরের রাজবাড়ী ময়দান আছে সেখানে লক্ষীকান্ত কে শুভেচ্ছা জানানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজাল আবরার, তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি। ফুলের তোড়া, মালা, উত্তরীয় ও মিষ্টির মাধ্যমে লক্ষীকান্তকে একের পর এক শুভেচ্ছা জানান তমলুকের বাসিন্দারা। এদিন জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো গাড়িতে চাপিয়ে লক্ষীকান্তকে তমলুক শহর থেকে বাড়িতে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা।