বিকাশ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ছিল চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের। সেদিনের আন্দোলনকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা। থানায় হাজিরা না দিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
গত ১৫ তারিখ বিকাশ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ছিল চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের। সেই কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেদিন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে উল্লেখিত তারিখে বিধাননগর উত্তর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের হাজিরা দিতে হবে।হাজিরা না দিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হবে বলেও নোটিসে জানানো হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ মেহবুব মণ্ডলকে সোমবার বিধাননগর উত্তর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের হাজিরা দেওয়ার কথা নোটিশে বলা হয়েছে। হাজিরা না দিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে নোটিসে। মেহবুবের বক্তব্য, এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। তবে তাঁর আশঙ্কা থানায় হাজিরা না দিলে যেমন গ্রেফতার করা হবে বলা হয়েছে নোটিশে জানানো হয়েছে। থানায় হাজিরা দিলেও হয়ত গ্রেফতার করা হতে পারে। তাঁর আরও বক্তব্য তাদের আন্দোলনকে দূর্বল করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। কিন্তু অসম্মানে চাকরি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালাবেন এতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রায় ১৩দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। প্রতিদিনই একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয় আন্দোলনের তেজ বাড়াতে। রবিবার ২০২৬-র এসএসসি প্যানেলভুক্ত চাকরিহারা দৃষ্টিহীন শিক্ষক – শিক্ষিকারা আন্দোলন মঞ্চে আসেন। তাঁরা তাঁদের জীবনযন্ত্রণার কাহিনি তুলে ধরেন। তাঁদের লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরেন। লড়াই করে জয়ী হন তাঁরা। কিন্তু ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়ার ফলে আবার তাঁদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। এখন তাঁদের সামনে জীবন- মরণ সংকট। তবে এলড়াই জয়ের অঙ্গিকারবদ্ধ তাঁরা।