আরজিকর আন্দোলন বলতে যে সব মুখ মনে পড়ে তাদের মধ্যে অন্যতম এক নাম হলেন চিকিৎসক দেবাশীষ হালদার। একেবারে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন । চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীও ছিলেন তেমনই একজন। সম্প্রতি তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দার্জিলিঙয়ে বদলি করে। এবার দেবাশীষের বদলি। প্রশন উঠছে নেপথ্যে কি স্বাস্থ্যভবনের কোপ?
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ সুবর্ণ গোস্বামীর পর এবার দেবাশীষ হালদার। হাওড়ার বদলে তাকে আচমকা বদলি করা হল মালদায়। আরজিকর কাণ্ডে সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে পোস্ট গ্র্যািজুয়েশন শেষ হবার পর কাউন্সেলিংয়ে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আচমকাই তাকে হাওড়া থেকে মালদা পাঠানো স্বাস্থ্য দফতর বলছে স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন প্রতিহিংসামূলক বদলি।
কিছুদিন আগেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশোন শেষ হয়েছে এতদিন কলকাতা মেডিক্যালে এনাস্থেশিয়া বিভাগে কাজ করা দেবাশীষের। তারপর নিয়মমাফিক কাউন্সেলিং হয় তার। কাউন্সেলিংয়ে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হয় সেই মোতাবেক তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে যে সেলফ ডিক্লেয়ারেশন চিঠি তাও দিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু আচমকাই ২৬শে মে সিনিয়র রেসিডেন্টদের যে পোস্টিং লিস্ট বেরোয় তাতে দেখা যায় হাওড়া নয় তাকে বদলি করা হয়েছে মালদায়। কোন কিছুই জানতেন না এই বিষয়ে তিনি।
চিকিতসকদের অনেকেই বলছেন এটা প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই না। আন্দোলনে থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে দেবাশীষদের। ইতিমধ্যেই আগের জায়গায় পোস্টিং চেয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে ইমেল করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাতে কি আদৌ কোন লাভ হবে? এর আগে সুবর্ণ গোস্বামীর ক্ষেত্রেও কোন বদল হয়নি।
হুগলির খামারগাছির বাসিন্দা দেবাশিস হালদার । বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজে অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন । মাধ্যমিক রাজ্যে অষ্টম হয়েছিলেন ৷ উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ হন ৷ আরজি করের ঘটনা তাঁকেও নাড়া দিয়েছে । ফলত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া । শুধু তিনি নন, তাঁর সদ্য বিবাহিতা চিকিৎসক স্ত্রী’ও এই আন্দোলনে যুক্ত । আগামীদিনে লড়াই কঠিন হলেও চালিয়ে যাবেন তাঁরা । ছেলে-বউমার এই উদ্যোগে গর্বিত পরিবার ৷