মঙ্গলবার সকালটাও অন্যান্য দিনের মত শুরু হয়েছিল দিলীপ ঘোষের। কিন্তু বেলা বাড়তেই বদলে গেল সবটা। জানা গেল তার স্ত্রী রিংকুর একমাত্র ছেলের রহস্যমৃত্যু। সেই খবর পেয়েই আরজিকরে এলেন প্রীতমের বাবা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: রিংকু মজুমদার বিবাহ বিচ্ছিন্না ছিলেন। দিলীপ ঘোষকে বিয়ের সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি বহু বছর ধরেই একা থাকেন। ছেলেকে একাই বড় করেছেন, তাকে প্রতিষ্ঠিত করে তারপর তিনি নিজের কথা ভেবেছেন। কিন্তু আজ অবধি একবারের জন্যও সামনে আসেনি রিংকুর প্রথম পক্ষের স্বামীর প্রসঙ্গ! একবারও এই প্রসঙ্গ ওঠেনি কেন রিংকু ‘মজুমদার’, আর ছেলে ‘দাশগুপ্ত’ পদবী ব্যবহার করেন? ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরই জানা যায়, রিংকুর প্রথম পক্ষের স্বামী কে? রাজা দাশগুপ্ত। বিজপুর উত্তরপাড়া নবনগরের বাসিন্দা। এদিন ছেলের খবর পেয়েই আর জি করে আসেন তিনি। বিধ্বস্ত চেহারা জানান দিচ্ছে এখনও বিশ্বাস হয়নি এই খবর।
রিংকুর এক আত্মীয় জানিয়েছেন “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত, তাই রিংকু ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন বাবার বাড়ি। অনেক কষ্ট করেই বড় করেন ছেলেকে। একা হাতে লড়েন অনেক লড়াই।
এদিন বেলায় নিউটাউনের আবাসন থেকে উদ্ধার হয় রিংকু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই দেহ আর জি কর হাসপাতালে শুরু হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওষুধের ওভার ডোজের কারণে মৃত্যু হয়েছে সৃঞ্জয়ের।