ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক-হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের নুতন আইনে এবং রাজ্য ও মিউনিসিপালিটি সমান ভাগে ক্ষতিপূরণ দেবে। কিন্তূ ক্ষতিপূরণ কে দেবে সাঁইথিয়া পুরসভা না রাজ্য সরকার? তা নিয়েই তৈরী হয় জটিলতা।
সাঁইথিয়া পুরসভার পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন একটি মোডিফিকেশন এপ্লিকেশন ফাইল করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, মিউনিসিপালিটি একটি স্বশাসিত সংস্থা। তার কোনো নিজস্ব ফান্ড নেই, রাজ্য সরকার ফান্ড রিলিজ করলে তবেই তারা ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে। তাছাড়া ক্ষতিপূরণের টাকা ১৯৮৬ সালে তারা রাজ্য সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছেন। তাই নির্ধারিত পুরো ক্ষতি পূরণের টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। তার পর সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে নির্দেশের পুনর্বিবেচনা হয় এবং রাজ্য সরকার কে পুরো টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় মেনে রাজ্য সরকার ২১মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষতিপূরনের পুরো টাকা জমির মালিকদের দিতে রাজি হয়। সাঁইথিয়া মিউনিসিপালিটি এবং এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বড়সড় স্বস্তি।
সাঁইথিয়া পুরসভার আইনজীবী আশীষ চৌধুরী আরও জানান,, “এই মামলাটি দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি হয়েছে। যখন জমিটি অধিগ্রহণ হয় সেই সময় পৌরসভা অধিগ্রহণ বাবদ যা ক্ষতিপূরণ সেটা দিয়ে দিয়েছিল। তাহলে এখন কেন পুরসভা আবার নতুন করে টাকা দেবে। সুপ্রিম কোর্টে আমাদের বক্তব্য গ্রাহ্য হয়। শেষমেষ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকেই সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।” পুরসভার দাবি, এই কমিউনিটি হল যাবতীয় কিছু একটা প্রেস্টিজের ব্যাপার। যদি এটা কোন ভাবে প্রাইভেট পার্টি অর্থাৎ জমির মালিকানা গনকে হস্তান্তর করতে হতো তাহলে স্থানীয়ভাবে সমস্যায় পড়তে হত পুরসভাকে। সাধারণ মানুষ যাদের ব্যবহার করতে পারে সেই জন্যই একটা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল পুরসভাকে।
জমি দাতাদের কে রাজ্য ক্ষতিপূরণ দেবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ১০ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।
জমি অধিগ্রহণের প্রায় ৩৯ বছর পর জমি দাতারা ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন। সেই সময় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা দিয়ে।
বর্তমানে রাজ্য সরকার ১০ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। ১৯৮৬ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সাঁইথিয়ায় কমিউনিটি হল এবং শিশুদের খেলার জায়গার জন্য।
গত বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ বিষয়টি। এই উদ্যান তৈরির জন্য সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।