প্রতিবাদের অধিকার কেন খর্ব করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারারা। কিন্তু সেসব উত্তর না দিয়ে সোজা তাঁদের আটক করা হয়।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: সেন্ট্রাল পার্কে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি পেয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেখানেই শুক্রবার দুপুরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন প্রতিবাদীরা। তখনই কার্যত রণং দেহি মূর্তি ধারণ করে পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় তাঁদের প্রিজন ভ্যানে। প্রতিবাদের অধিকার কেন খর্ব করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারারা। কিন্তু সেসব উত্তর না দিয়ে সোজা তাঁদের আটক করা হয়।
বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই লাগাতার আন্দোলন করছিলেন তারা। শুক্রবার তাঁরা ‘অর্ধনগ্ন’ মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তবে দেখা যায়, সেই মিছিল ঠিক মতো শুরু হওয়ার আগেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদী চাকরিহারাদের আটক করা হয়। ধর্মতলা থেকে শুরু করে শিয়ালদহ স্টেশন, সব জায়গা রীতিমতো তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ চাকরিহারাদের আটক করে। বেলা গড়াতে বিকাশ ভবন চত্বরেও ধরা পড়ল একই ছবি।
এদিন সার্চ অপারেশন চালিয়ে আন্দোলনকারীদের ধরতে পুলিশ ঢুকে যায় ডোরিনা ক্রোসিংয়ের একটি শপিং মলে। এই ডোরিনা ক্রোসিংয়েই কর্মসূচির ঘোষণা ছিল চাকরিহারাদের। কিন্তু তার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। চলে ধরপাকড়। একের পর এক চাকরিহারাদের তুলে নিয়ে যায় তারা।
শপিং মলে চলা এই ‘সাফাই অভিযানে’র নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। মলের সামনে থাকা চাকরিহারাদের আটক করেন তিনি। তারপর ভিতরে ঢুকতেই হদিশ মেলে আরও কয়েকজন চাকরিহারার। তাদের মধ্যে একজন আবার জামা খুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাকেও এদিন আটক করে পুলিশ। তুলে দেয় প্রিজন ভ্যানে। বেশ কয়েকজন দাবি করেন, তারা নাকি শপিং করতে এসেছিলাম। কিন্তু তাদেরও তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।