হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ৮০০ ভারতীয় পড়ুয়া আছেন, যাদের ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে একেবারে অনিশ্চয়তার দোরগোড়ায় কারণ ট্রাম্পের ‘বিদেশি কোপ’ পড়েছে এই হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। বলা হয়েছে যে আর কোন বিদেশিকে ভর্তি করানো যাবে না।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ক্যাম্পাসে নাকি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি চলছে! তাই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশিদের ভর্তিই বন্ধ করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ একথা বলাই যায় যে ঐতিহ্যবাহী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এক বড়সড় আঘাত হানল ট্রাম্প প্রশাসন। এই মুহূর্তে বিদেশি পড়ুয়ারা এক চরম অনিশ্চয়তার সামনে।
শুধু বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির ওপরেই যে নিষেধাজ্ঞা তা তো নয়, এর পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে যে, এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব বিদেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন, তাঁদের দ্রুত অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। নয়তো বাতিল করে দেওয়া হবে তাঁদের ভিসা। আমেরিকার নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়াম জানিয়েছেন, বিদেশি পড়ুয়াদের বিষয়ে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হামাসের সমর্থনে উস্কানি দেওয়া হয়। এর ফলে ইহুদি পড়ুয়ারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
যেহেতু আইন মেনে চলছে না হার্ভার্ড, তাই বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি করা এবং স্টুডেন্টস এক্সচেঞ্জের অধিকার খর্ব করল ট্রাম্প সরকার। তবে হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির তরফে জানানো হয়েছে, যদি বিশ্ববিদ্যালয় চায় বিদেশিদের ভর্তি করার অধিকার আবার ফিরে পেতে, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিতে হবে প্রশাসনের হাতে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইন হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যা একেবারে সহ্য হয়নি ইজরায়েলের বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তার জেরে একাধিকবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর শাস্তির খাঁড়া চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এবার শাস্তি যেন বড্ড বেশি। যার জেরে ভারতীয় তো বটেই বাকি বিদেশি পড়ুয়ারাও চিন্তায়। এবার দেখার বিষয়, ৭২ ঘন্টায় কি পরিস্থিতি বদলাবে হাভার্ডের!