দেশের পশ্চিম সীমান্তে সেনা বাহিনীর তরফ থেকে অত্যাধুনিক জ্যামার বসানো হয়েছে। এর ফলে দিক ভ্রষ্ট হবে পাকিস্তানি সেনার বিমান। পাক সেনার বিমান যে “গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম” বা জিএনএসএস ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর সঠিক অবস্থান ঠিক করে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাক বাহিনীর ঠিক করা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে ভারতের আকাশে ঢুকতে পারবে না পাকিস্তানি বিমান। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ ভারতের। দেশের পশ্চিম সীমান্তে সেনা বাহিনীর তরফ থেকে অত্যাধুনিক জ্যামার বসানো হয়েছে। এর ফলে দিক ভ্রষ্ট হবে পাকিস্তানি সেনার বিমান। পাক সেনার বিমান যে “গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম” বা জিএনএসএস ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর সঠিক অবস্থান ঠিক করে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাক বাহিনীর ঠিক করা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। পাকিস্তানি সেনার বিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য ৩ দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া) এবং বেইডু (চিন)- এই তিনটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এগুলি উপগ্রহের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানতে পারে। এই তিন দেশের প্রযুক্তিকে ছাপিয়ে যাবে এদেশের নয়া প্রযুক্তি বলে দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর ফলে পাকিস্তানের নির্ধারিত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হতে পারে। এমনকি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্য বস্তু সম্পর্কে তথ্য নাও পেতে পারে পাক সেনা। ভারত সরকারের তরফে একটি “নোটিস টু এয়ার মিশন” বা এনওটিএএম জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বা যাত্রীবাহী, উভয় বিমানের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।” এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার কোথাও যেতে গেলে পাকিস্তানি বিমানগুলি সমস্যার সম্মুখীন হবে। গন্তব্যে পৌছতে যেমন বেশি সময় লাগবে তেমনই অতিরিক্ত ২-১ ঘন্টা সময় অতিরিক্ত লাগবে। এর ফলে জ্বালানি পুড়বে অনেক বেশি। এতে সফরের খরচ অনেকটাই বাড়বে।