পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখছে ভারত। স্থল, জল, অন্তরীক্ষে সব ধরনের মহড়ার মধ্যেই রবিবার আরও এক মহড়া অনুষ্ঠিত হলো পাক সীমান্ত ঘেঁষা পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। রবিবার রাত ন’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত পুরো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্ল্যাক আউটের মহড়া সেরে রাখা হলো।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গত মাসের ২২ তারিখ পহেলগাঁও এ জঙ্গি হামলার ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। তারপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে উঠেছে আসমুদ্র হিমাচলের সকল নাগরিকের মনে। ক্ষোভের রেশ দেখা গিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে। ভারত সরকারও এই নৃশংস ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশকিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সামরিক অভিযানের প্রস্তুতিও চলছে গত কয়েকদিন ধরে। এই প্রস্ততির ই অন্যতম অঙ্গ হলো ব্ল্যাক আউট ড্রিল।
রবিবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টের প্রেসিডেন্ট তথা স্টেশন কমান্ডার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, রবিবার রাত ন’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত আধঘন্টা ধরে ব্ল্যাক আউট ড্রিল রিহার্সাল করা হবে। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন যাতে যুদ্ধ সাইরেন (War Siren) বাজার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সকলে নিজের নিজের বাড়ি ও এলাকার সব বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন। সব লাইট যেন নিভিয়ে দেওয়া হয়। পুরো এলাকা যেন সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়, এমনকি মোবাইলের আলোও যেন না দেখা যায়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এদিন রাতে পাক সীমান্ত লাগোয়া ফিরোজপুরে সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউট ড্রিল রিহার্স করা হয়। এই ড্রিল শুরু হওয়ার আগে ডেপুটি কমিশনার দীপশিখা শর্মা স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্থ করে বলেন, কোনো রকম প্যানিক করার কারণ নেই। এটা একদমই রুটিন রিহার্সাল। সবাই শান্ত থাকবেন। এদিকে এই রিহার্সাল ড্রিল এর বিষয় জানিয়ে পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন লিঃ (PSPCL) কে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাওয়ার (বিদ্যুৎ) কাট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। স্থানীয় কিছু বয়স্ক মানুষের বক্তব্য তাঁরা এই ধরনের ড্রিল দেখেছেন ৬৫ বা ৭১ এর যুদ্ধের সময়ও।