ভারতীয় সেনা বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ড তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করে। সেই ভিডিয়োর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা বোঝাতে চেয়েছে, বদলার মনোভাব থেকে “অপারেশন সিঁদুর” অভিযান নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হল বিচার।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা একযোগে চালায় এই অভিযান। যার নাম দেওয়া হয় “অপারেশন সিঁদুর” (Operation Sindoor)। ভারতীয় সেনা বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ড তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করে। সেই ভিডিয়োর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা বোঝাতে চেয়েছে, বদলার মনোভাব থেকে “অপারেশন সিঁদুর” অভিযান নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হল বিচার। ইন্ডিয়ান আর্মির ওয়েস্টার্ন কমান্ডের এক্স হ্যান্ডেল থেকে ৫৪ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং বাস্তবায়িত।” ভিডিয়ো শুরু হতেই দেখা যাচ্ছে ভারতীয় সেনার একটি বাহিনী। তাঁদেরই এক সেনাকে বলতে শোনা যায়, “পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে অপারেশন সিঁদুর শুরু হয়েছে। রাগ নয়, বরং লক্ষ্য একটাই, এবার উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগামী দিনে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে।” ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। প্রাথমিক ভাবে হামলার দায় নেয় লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন “দ্যা রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট”। এরপরই ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা চুপ করে থাকবে না। উপযুক্ত জবাব দেবেই। ৬ই মে এবং ৭ই মের মধ্যবর্তী রাতে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। সব কটি হামলা প্রতিহত করে ভারত। ১০ই মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ফের পাকিস্তান, ভারতের সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরেই পাক সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এই স্থগিত থাকা চুক্তি কবে পুনরায় কার্যকর হবে তা অজানা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করেছে ভারত। পাকিস্তান থেকে কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী হামলা হলেই তা যুদ্ধের আহ্বান বলেই গণ্য করা হবে বলে ভারতের মত।