গাজার ওপর ইজরায়েলের হামলা অব্যাহত। গত ২৪ ঘন্টায় এই হামলা অভিঘাতে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও সেই প্রস্তাব একেবারে খারিজ করে ইজরায়েল জানাল যুদ্ধ চলবে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ সোমবার থেকে এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলের লাগাতার হামলায় শুধু গাজাতেই ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বহু শিশুও। শোনা গিয়েছিল, শান্তি আলোচনায় রাজি হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ করে ইজরায়েল স্পষ্ট জানাল গাজার মাটি থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা অবধি কোন যুদ্ধবিরতি হবে না।
গাজার কাছে বেশ কয়েকজন ইজরায়েলের সেনা বন্দী হয়ে আছে তাদের মুক্ত করাও ইজরায়েলের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ইজরায়েল। সোস্যাল মিডিয়ায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘আমি ভীষণভাবে আশাবাদী আজ অথবা কাল আমি হামাসের বিরুদ্ধে চলা আমাদের এই যুদ্ধের বিস্তারিত তথ্য পণবন্দিদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’ নেতানিয়াহু স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, হামাসকে শেষ করে পণবন্দিদের উদ্ধার করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, ১০ পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে ৭০ দিনের যুদ্ধ বিরতির। কিন্তু নেতানিয়াহ্যর দেশ কোনওভাবেই এই প্রস্তাবের পক্ষে নয়। সোমবার শোনা গিয়েছিল, আমেরিকার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে নাকি রাজি হয়েছে হামাস। আমেরিকার বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে। সেই প্রস্তাব মেনে নেবে হামাস এমন আভাস আগেই ছিল কিন্তু ইজরায়েলের সাফ দাবি সবার আগে হামাস নিধন। ইজরায়েলের সঙ্গেও সাময়িক সংঘর্ষবিরতি আলোচনায় যেতে চেয়েছিল আমেরিকা। পরিবর্তে অর্ধেক যুদ্ধবন্দিকে প্রত্যর্পণ করতে হবে দুই পক্ষকেই। এই ভাবেই অদূর ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ সংক্রান্ত আলোচনার পথ খুলে যেতে পারে বলে বিশ্বাস ছিল হোয়াইট হাউসের।
জেহাদিদের নিধনে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বা আইডিএফ। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষকে ঢাল করে এখানেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। রবিবার রাতভর গাজার একটি স্কুল-সহ একাধিক জায়গায় আক্রমণ করে ইজরায়েলি সেনা। ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ। বোমাবর্ষণে প্রাণ হারান ৪৪ জন। যার অধিকাংশ শিশু। আহত ৬৬। ইজরায়েলের দাবি কুখ্যাত জঙ্গিদের খতম করতে এই অভিযান।