গাজায় একটানা ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইউনিস শহরের হাসপাতালের মর্গে এই মুহূর্তে টুকরো টুকরো দেহের পাহাড় হয়ে গিয়েছে। গাজা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধে প্রতি দিনই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে গাজা ভূখণ্ড। প্রায় দেড় বছর ধরে বিধ্বস্ত অবস্থা হয়ে রয়েছে গাজার। এই আবহেই ফের বুধবার থেকে লাগাতার ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে যে নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। বিশেষ করে শুধুমাত্র খান ইউনুস শহরে আশ্রয়কেন্দ্র ও বসতবাড়িতে রাতভর বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন।
এর পাশাপাশি যারা এখনও জীবিত রয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। এই মুহূর্তে গাজা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন।ইজরায়েলের লাগাতার অবরোধের মুখে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা ঢুকতে না পারার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা চরম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও খবর। জানা গেছে যে, মানুষজন ঘুমিয়ে থাকার সময় তাদের ওপর হামলা হয়েছে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে ইজরায়েলের ১৩ টি বিমান হামলা চালিয়েছে।
গত ৫ই মে জানা যায় যে গোটা গাজা উপত্যকা দখলের পথে হাঁটতে চলেছে ইজরায়েল এবং শীঘ্রই পুরো গাজা উপত্যকা দখল করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার পরিকল্পনা করছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অভিযান ব্যাপক ভাবে প্রসারিত হবে বলে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল এবং দেখা গেল সেই পরিকল্পনা মতই গাজার ওপর এমন লাগাতার প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল।