শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশে বিশেষ হোম টাস্ক আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের। অন্যদিকে ১৫ মে বিকাশ ভবনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব এআইডিএসও। রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
আন্দোলন চালাতে কোনও রাজনৈতিক রং চাই না। রাজনৈতিক রং ছাড়াই আন্দোলন চালিয়ে যেতে যান চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। প্রয়োজনে তাঁরা নবান্ন অভিযানেও সামিল হবেন। কিন্তু সব সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরাই নেবেন। স্পষ্ট কথা আন্দোলনকারীদের।
রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশে আন্দোলনকারীদের বার্তা তাঁদের বিষয়ে আলোচনা হোক সংসদের অধিবেশনে। আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ মেহবুব মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘আমাদের আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির হাতে যাবে না। রাজনৈতিক রং বাদ দিয়েই আন্দোলন হবে। নবান্ন অভিযানও হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলকে হোম টাস্ক দিচ্ছি। আপনারা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবেন। বলবেন যে, যোগ্যদের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। পার্লামেন্টেও আমাদের হয়ে কথা বলতে হবে।’’ পাশাপাশি সিপিএমের উদ্দেশে মেহেবুব বলেন, ‘‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে আমাদের ফ্রড (প্রতারক) বলেছেন। সেটা সংশোধন করে আমাদের প্যানেল যাতে বাঁচে, সেটা নিয়ে কথা বলুন।’’ অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের হয়ে কথা বলার আহবান জানালেও কোনও রাজনৈতিক রং ছাড়াই সেটা করা হোক এমনটাই চান চাকরিহারারা। সব রাজনৈতিক দলই তাঁদের বিষয়ে সরব হোন তবে কোনও রাজনৈতিক রং না লাগিয়ে এমনই বক্তব্য আন্দোলনকারীদের।
প্রসঙ্গত, ১৫ মে বিকাশ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ছিল চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের। সেই কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেদিন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে সেদিনের ঘটনায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৫ তারিখ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব এআইডিএসও। সেদিন বিকাশভবনে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পুলিশি ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে সারা বাংলা জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও-র সদস্যরা।