পাহাড়ে চড়া ছিলো তাঁর নেশা। সেই পাহাড়ের বুকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রানাঘাটের স্কুল শিক্ষক সুব্রত ঘোষ। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছায় কৃষ্ণনগরে।
সঞ্জু সুর ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সুব্রত ঘোষ, রুম্পা দাস সহ রানাঘাট কৃষ্ণনগরের একদল পাহাড়প্রেমী এভারেস্টের উদ্দ্যেশে পাড়ি দিয়েছিলেন গত ৩১ মার্চ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর জয় করাই ছিলো তাঁদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সফল সামিট করার পরেও সফলভাবে ফেরা সম্ভব হলো না দলের এক সদস্যের। বছর পঁয়তাল্লিশের সুব্রত ঘোষ। বাগদা, কাপাসাটি মিলনবীথি হাইস্কুলের শিক্ষক সুব্রতর বাড়ি রানাঘাটের তিন নম্বর ওয়ার্ডে। দলের আরেক সদস্য, ৪৪ বছরের রূম্পা দাস, রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্প স্কুলের ইংরাজি শিক্ষিকা।
গত পরশুদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সাউথ কল (South Call) এর ক্যাম্প চার (Camp 4) থেকে সামিট (এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা) এর উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেন অসীম কুমার মন্ডল, সুব্রত ঘোষ, রূম্পারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পাওয়া যায় অসীম মন্ডল সামিট না করেই ফিরছেন। তবে সুব্রত ও রূম্পা তাঁদের অভীষ্ট লক্ষের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। বিকাল সাড়ে তিনটার সময় বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবাশীষ বিশ্বাস পোষ্ট করে জানান, দুজনেই (সুব্রত ও রূম্পা) সফলভাবে সামিট কমপ্লিট করেছেন।
খুশি ছড়িয়ে পড়ে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের পাহাড় প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে। যদিও দেবাশীষ বাবুর পোষ্ট থেকেই জানা যায় সামিট কমপ্লিট করলেও রূম্পার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় তাঁকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও সেই সময় থেকেই সুব্রত ঘোষের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কার মেঘ জমতে থাকে। শুক্রবার সকালে জানা যায় আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে গতকাল রাতে সুব্রতকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। সুব্রত ঘোষকে মৃত ঘোষণা করা হয়।