জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকা পাক সেনা ও পুলিশের নামের তালিকায় দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের হেভিওয়েটদের নাম। এই তালিকায় রয়েছে পুলিশের আইজি পদের আধিকারিক থেকে পাক সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল। ইতিমধ্যেই ৫ জনের নাম সামনে এনেছে ভারতীয় সেনা।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁওয়ের বদলা অপারেশন সিঁদুর। অপারেশন সিঁদুরে মৃত্যু হয়েছে বহু পাকিস্তানি জঙ্গির বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। মৃত জঙ্গিদের ঘটা করে রাষ্ট্রীয় সম্মানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে পাক সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া সেই সব আধিকারিকদের নাম পরিচয় সামনে আনে ভারত। জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকা পাক সেনা ও পুলিশের নামের তালিকায় দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের হেভিওয়েটদের নাম। এই তালিকায় রয়েছে পুলিশের আইজি পদের আধিকারিক থেকে পাক সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল। ইতিমধ্যেই ৫ জনের নাম সামনে এনেছে ভারতীয় সেনা। তালিকায় রয়েছেন পাক সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়াজ হোসেন শাহ। তিনি লাহোরের আইভি কর্পসের কমান্ডার। রয়েছেন মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ, লাহোরের ১১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির, পাকিস্তানের পঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল উসমান আনোয়ার এবং পঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মালিক শোয়েব আহমেদ ভের্থ। ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে লস্কর-এ-তৈবার জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রাউফকে। আমেরিকার জঙ্গি গোষ্ঠীর যে তালিকা তৈরি করেছে হাফিজ আব্দুল রাউফের নাম বিশেষভাবে চিহ্নিত সেই তালিকায়।
জঙ্গিদের দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বলেও সেই ছবি দেখা গেছে। ছবিতে লস্কর জঙ্গি আব্দুলকে ভাষণ দিতে দেখা গেছে। তার পিছনে পাক কর্তাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখিত। তাঁদের চিহ্নিত করে ছবি নাম পরিচয় সামনে এনেছে ভারতীয় সেনা। ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী লস্কর-এ-তৈবার জঙ্গি হাফিজ সইদও এই শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। হাফিজই পাকিস্তানে জামাত-উদ-দাওয়া নামের আরও একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করেছে বলে খবর। ভারতের সেনাবাহিনীর দাবি, অপারেশন সিঁদুর-এ এই সংগঠনের তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদেরই শেষকৃত্য হয় মুরিদকেতে। নিহতেরা হল কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাসসির। গত ৮ই মে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনাবাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের এই আচরণকে নিন্দার চোখে দেখা হয়। সেখানেই বিদেশ সচিব বলেন, নিহত জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শহিদের সম্মান দিচ্ছে পাকিস্তান। পরে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাক কর্তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান যদিও তাদের এই ঘৃণ্য ঘটনাকে অস্বীকার করে এসেছে। তাদের দাবি, ভারতের হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাদের জাতীয় পতাকায় মুড়ে সম্মান জানানো হয়।