২০১৯ সালে যেভাবে আছড়ে পড়েছিল করোনার ঢেউ, তা আজও ভোলেননি কেউ। এবার ফের তৈরি হয়েছে এক ভয়ের বাতাবরণ। লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে দুই শহরে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: করোনাকে কেন্দ্র করে হংকং এবং সিঙ্গাপুরে এই মুহূর্তে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে গিয়েছে কারণ এই দুই শহরেই ফের উঁকি দিচ্ছে করোনা। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা।
হংকংয়ে মারাত্মক ভাবে করোনার দাপাদাপি বেড়ে চলেছে। সেখানে ৩ মে পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্তদের ভিড়। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে গত সপ্তাহের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই তা পৌঁছেছে ১৪ হাজার ২০০-তে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার ৩০ শতাংশ। গত এক বছরের নিরিখে যা সর্বাধিক। তবে প্রশাসন জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এমন প্রমাণ মেলেনি যে নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বেশি সংক্রামক।
করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা জারি সিঙ্গাপুরে, সূত্রের খবর তেমনটাই। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বাড়ির বাইরে সাধারণ মানুষকে বেরতে নিষেধও করা হয়েছে। হাসপাতালে দৈনিক ভর্তিও বেড়েছে ব্যাপক হারে।
কিভাবে বাড়ল করোনার প্রকোপ? জানা গেছে যে, সম্প্রতি হংকংয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বহু সংখ্যক রোগী হাজির হচ্ছেন হাসপাতালে। ব্লুমবার্গের খবর অনুযায়ী জানা যায়, এই সব রোগীর অধিকাংশই কোভিড পজিটিভ। অনেকেকে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালেও। যার জেরে ব্যাপক আকারে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।
হংকং স্বাস্থ্য দফতর প্রায় এক বছর পর মে মাসে ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা সম্পর্কে আপডেট প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১৪,২০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে । সরকার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের টিকা গ্রহণের বিষয়ে সচেতন করেছে। এর জন্য অবশ্য এখনই ভাইরাসের নতুন কোনও রূপকে দায়ী করছে না সরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে ভাইরাসটি আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, তাইল্যান্ডে এই বছর দুটি ক্লাস্টারে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসের বার্ষিক এক উৎসবের পরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।