শনিবার বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস। আর এই দিনেই যে তথ্য সামনে এল তা জানলে আজই সিগারেটের সঙ্গে বিচ্ছেদ করবেন আপনি। আর সেটাই করা উচিত কারণ চিকিৎসারা জানাচ্ছেন একটা সিগারেট জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে ২০ মিনিট!
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: একটি সিগারেট কেড়ে নিচ্ছে জীবন থেকে মূল্যবান ২০ মিনিট অর্থাৎ কোন মহিলা বা পুরুষ ধূমপায়ী যদি একদিনে ৪টে সিগারেট খান সেক্ষেত্রে একধাক্কায় তার জীবন থেকে কমে গেল ৮০ মিনিট! এর পাশাপাশি ধূমপান যে সরাসরি ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত তা বলাই বাহুল্য।
ধূমপান মূলত জীবনের মাঝামাঝি দিকের সুস্থ সময় নষ্ট করে ফেলে। সিগারেট যা ক্ষতি করে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা অক্ষমতাও এতটা ক্ষতি করে না। এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সিগারেট গড়ে জীবনের ২০ মিনিট কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ ২০টি সিগারেটের একটি প্যাকেট জীবনের প্রায় সাত ঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে।পরিসংখ্যান বলছে, যদি কোনও ধূমপায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করেন তবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে তিনি জীবনের এক সপ্তাহ পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। বছরের শেষে প্রায় ৫০ দিনের জীবন ফিরে পাবেন তিনি।
কিন্তু এই সিগারেটের নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি আছে? যাঁরা রোজ সিগারেট খান কিংবা যাঁরা চেনস্মোকার, তাঁদের অনেকে হুট করে ছাড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। অনেকে বলেন, সিগারেট ছাড়ার কথা ভাবলে অত না ভেবে, ঝটপট ছেড়ে দেওয়া উচিত। কেউ কেউ আরও বলেন, ধীরে ধীরে সিগারেট মুক্ত জীবনের দিকে পা বাড়ানো উচিত। কিন্তু এটাও ঠিক দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করলে সমস্যা হয়। উইথড্রয়াল সিন্ড্রোমে ভোগেন অনেকে। শুরু হয় তীব্র মাথা যন্ত্রণা। তখন অনেকেই নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে ফের হাতে তুলে নেন সিগারেট কিন্তু যারা এই জায়গায় নিজেকে আটকে নিতে পারেন তারাই জিতে যান।
যখন আপনি মনে করছেন আর সিগারেট খাবেন না কিন্তু মন বলছে একটা সিগারেটের কথা সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে অন্য কিছুর মধ্যে ব্যস্ত করে দিন সঙ্গে রাখতে পারেন লজেন্স বা মৌরি জাতীয় জিনিস। মুখ সিগারেট চাইলেই তাকে এসব দিয়ে দিন। আসলে নেশা ছাড়তে নিজের মনের জোর থাকাও প্রয়োজন। নিজের মনকে শক্ত করলে মন থেকে চেষ্টা করলে ছাড়তে পারবেন ধূমপান। এই বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে প্রতিশ্রুতি হোক এটাই, সে নো টু টোব্যাকো।