ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মোছার জন্য অপারেশন সিঁদুর দিয়ে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল ভারত। ভারতের এই জবাবে পাকিস্তান যে কেঁপে গিয়েছিল তা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি নিজেই জানিয়েছেন সেদিন রাত আড়াইটের সময় সেনাপ্রধান আসিম মুনির ফোন করে জানিয়েছিলেন সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তানে এই হামলা করতে মাত্র ২৩ মিনিট লেগেছিল ভারতের। আর সেই ২৩ মিনিটেই শরিফ, মুনিররা বুঝে গিয়েছিলেন কি ভয়ংকর সময় আসতে চলেছে! শরিফ জানিয়েছেন, রাত আড়াইটে নাগাদ ভারতের হামলার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান সেনাপ্রধান। শরিফের বক্তব্য অনুযায়ী, মুনির ফোনে তাকে বলেন, ‘‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, ভারত ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে পাকিস্তানের দিকে। আমাকেও পাল্টা হামলার অনুমতি দিন।’’
তারপর ফোনেই সেনাপ্রধানকে পাল্টা হামলার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি পাক প্রধানমন্ত্রীর। পরে ভোরের দিকে পাকিস্তান পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে। জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান-সহ ভারত-পাক সীমান্তে ড্রোন, মিসাইল ছোড়া হয়। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই আক্রমণ সফল ভাবে প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা
উল্লেখ্য নূর খান ঘাঁটিতে আক্রমণের কথা এতদিন পাকিস্তান স্বীকার করেনি। তবে এবার শরিফ জানাতে বাধ্য হলেন যে সেদিন মুনির তাকে বলেন ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। আসলে এই নূর খান পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জায়গা। বলা যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হৃদয়। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এখান থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে বিশ্বের কাছে বেরিয়েই এল সত্যিটা।