ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। ড্রোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে বন্ধুকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার তুরস্ক গিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রশ্ন উঠছে এর আড়ালে কি কোন নতুন চাল লুকিয়ে?
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: এই মুহূর্তে চতুর্দেশীয় সফরে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মোট ৪ দেশে সফর করবেন এই পাঁচ দিনের সফরে যেখানে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা তো হবেই এবং এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আর এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতেই তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে প্রিয় ভাই বলে ডাকলেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গিয়েছেন তুরস্কে পৌঁছেই প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমার প্রিয় ভাই প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়িপ এর্দোগানের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষে পাকিস্তানের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের জন্য তাকে ধন্যবাদ।’ ফলত, সদ্য হওয়া ভারত পাক সংঘর্ষে তুরস্কের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, পাক-তুরস্ক বৈঠকের লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করা। বিশেষ করে জ্বালানি, বাণিজ্য, পরিবহণ এবং প্রতিরক্ষা খাতে উন্নতির স্বার্থে আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে তুরস্ক ও পাকিস্তানের পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
এরপর তাজাকিস্তান, আজারবাইজান, এবং ইরানে যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশ মন্ত্রী ইশাক দার, শাহবাজ শরিফের বিশেষ সচিব তারিক ফতেমি, রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।