ভারতের মাটি বারবার রক্তাক্ত হয়েছে পাক মদত পুষ্ট জঙ্গিদের হামলায়। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত রীতিমতো পাকিস্তানের মাজা ভেঙে দিয়েছে। এই মুহূর্তে সংঘর্ষবিরতিতেই রয়েছে দুই দেশ। বেশ চাপে পাকিস্তান। এই আবহে শান্তির লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চাইলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ভারতের সঙ্গে আচমকাই নাকি শান্তির জন্য আলোচনা চায় পাকিস্তান। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে এর পিছনে কোন অভিসন্ধি নেই তো পাকিস্তানের?
শান্তির লক্ষ্যে এই বার্তা পাঠালেন খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কামরা বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। সেখানে বায়ুসেনা আধিকারিক ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাক-প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে শান্তির জন্য কথা বলতে প্রস্তুত। শান্তি-আলোচনার শর্ত কাশ্মীর ইস্যু।”
পাকিস্তান যখন শান্তির জন্য আলোচনা চাইছে তখন ভারতও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বরাবরের মত সাফ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ। তাই পাকিস্তানের এই উদ্দেশ্য সফল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দেশে জঙ্গি হামলা হলে কীভাবে, কতটা গভীরে গিয়ে ভারত প্রত্যাঘাত করতে পারে তা পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ, লস্কর-সহ জঙ্গি গোষ্ঠীর হেডকোয়াটার্স, ট্রেনিং সেন্টার, লঞ্চ প্যাড গুঁড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মাত্র ৩ ঘণ্টায় পাকিস্তানের ৯টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তাই হয়ত চাপে পড়েই এই আলোচনা চাইছে পাকিস্তান।
শরিফের এই শান্তিবার্তা এই মুহুর্তে ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান সম্পর্কের নিরিখে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল পাকিস্তানের। হামলার দায়ও নেয় লস্কর ই তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।