সন্ত্রাসবাদ এবং তাতে পাকিস্তানের সমর্থনের বিষয়টি গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সাতটি প্রতিনিধি দলকে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আমেরিকায় যে দলটি গিয়েছে, তারই নেতৃত্বে রয়েছেন শশী থারুর। আর সেখানেই তিনি জানালেন যে বরাবরই পাকিস্তান ছিল সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়, তাই এই আঘাত তাদের দরকার ছিল।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ আমেরিকায় গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে গোটা পৃথিবীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ৷ তীব্র আক্রমণ করে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে আগ্রহী নয় ভারত ৷ স্থিতাবস্থা বজায় রেখে দেশের নাগরিকদের এক উন্নত বিশ্ব উপহার দেওয়াই ভারতের লক্ষ্য ৷ কিন্তু ইসলামাবাদ ভারতের নেতৃত্বে থাকা এলাকায় কর্তৃত্ব ফলাতে চায় ৷ আর তার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতেও তাদের আটকায় না ৷ ভারত কখনওই এই আচরণ বরদাস্ত করবে না ৷” আরও বলেন যে, তিনি শাসক শিবিরের অংশ নন ৷ বিরোধী দল করেন ৷ তবে সন্ত্রাসের প্রশ্নে সরকারের পাশে আছেন ৷
শশীর সাফ কথা, “আমি সরকারের জন্য কাজ করি না। আমি একটি বিরোধী দলের সদস্য। তার পরেও আমি বলছি, ভারত সরকার যে আঘাত পাকিস্তানের বুকে হেনেছে। সেটা একেবারে সঠিক। এই আঘাতটারই দরকার ছিল। সন্ত্রাস রুখতে সবরকমভাবে সতর্ক করা হয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু ওদেশে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল থেকেই গিয়েছে। পাকিস্তান ভারতীয় ভুখণ্ড দখলের লোভ ছাড়তে পারছে না। আপনি যেমন আচরণ করবেন তেমনটাই ফেরত পাবেন।” নিউ ইয়র্কে ৯/১১ হামলার স্মৃতিসৌধেও গিয়েছেন তারা। সেখানে তিনি জানান যে, এই শহর এখনও সন্ত্রাস হামলার চিহ্ন বহন করছে। ভারতে সন্ত্রাস হামলার পরে তার প্রতিনিধি দলের নিউ ইয়র্কে আসা বিশেষ বার্তা বহন করে বলেই মনে করেন থারুর।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে আরও একটা জঙ্গি হামলা হয়েছে ৷ তারপর আমরা এমন এক শহরে এসেছি যা সন্ত্রাসবাদের যন্ত্রণা কী সেটা খুব ভালো করে বোঝে ৷ সফরের শুরুতে স্মৃতিসৌধে গিয়ে আমরা গোটা দুনিয়াকে এক বিশেষ বার্তা চেয়েছি ৷ বলতে চেয়েছি, সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা ৷ সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে ৷”