পহেলগাঁওয়ে সিআরপিএফের ১১৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে জঙ্গিহানার কয়েকদিন আগে বদলি হয়ে যান। অভিযুক্ত ওই জওয়ানকে ইতিমধ্যেই বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৭ই এপ্রিল পহেলগাঁও থেকে অন্যত্র বদলি করা হয় তাকে। বদলির কয়েক দিন পরেই পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কয়েকদিন আগে পর্যন্তও, হামলার এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তিতে অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ান। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। গত ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানা হয়। পহেলগাঁও কাণ্ডের ৫-৬ দিন আগে অন্যত্র বদলি হয়ে যান অভিযুক্ত জওয়ান মোতি রাম জাট।
তিনি সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পহেলগাঁওয়ে সিআরপিএফের ১১৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে জঙ্গিহানার কয়েকদিন আগে বদলি হয়ে যান। অভিযুক্ত ওই জওয়ানকে ইতিমধ্যেই বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৭ই এপ্রিল পহেলগাঁও থেকে অন্যত্র বদলি করা হয় তাকে। বদলির কয়েক দিন পরেই পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। মৃতদের তালিকায় বেশিরভাগই পর্যটক। ২০২৩ সাল থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানান গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য পাক গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিতেন মোতি রাম বলে অভিযোগ। বিনিময়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হত। দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হলে আদালত মোতি রামকে ৬ই জুন পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তও চালাচ্ছে এনআইএ। আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মোতি রামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা শুধু দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নয় বরং, ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাতেও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সশস্ত্রবাহিনী দেশের অন্যতম স্তম্ভ। অবিলম্বে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।
পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে দেশের অভ্যন্তরে দেখা গেছে একাধিক জনকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে এবং সেই অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই ওই সিআরপিএফ জওয়ানের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচরযোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।