জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যকারী দেশ পাকিস্তান এখন নিজের দেশের সাধারণ নাগরিকদের কাছেই ট্রোলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তার পরবর্তী সময়ে ভারতের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে এমনিতেই দুই দেশে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি। আর এই পরিস্থিতিতে সেদেশের সাধারণ নাগরিকদের ‘ট্রোল’ থেকে বাদ যাচ্ছে না পাকিস্তান সরকার থেকে শুরু করে সেদেশের সেনা।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা পরবর্তী সময়ে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত সহ পাক নাগরিকদের ভিসা রদ করা, ভারতীয় আকাশ সীমা পাকিস্তানি বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। পাল্টা কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে পাক সরকারও। কিন্তু সে দেশের সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, সে দেশের সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকেই ট্রোল করে চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয়েছে যেখানে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একজন সাধারণ মানুষের মত (ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে) জানতে চান। সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে তাহলে আপনি কি করবেন ? আপনি কি সীমান্তে যাবেন সেনা(পাক সেনা) কে সাহায্য করার জন্য ?’ উত্তরে সেই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি বরং পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যাবো।’ আরেকটি পোষ্টে এক যুবক বেশ হাসতে হাসতে বলছেন, ‘কে যাবে এই গরমে যুদ্ধ করতে ! আমি তো যাবো না।’ ইনস্টাগ্রাম পোষ্টে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ভারত প্লিজ তাড়াতাড়ি আমাদের আক্রমণ করো, এরপর আমার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।’ আরেকটি ইনস্টা পোষ্টে এক যুবতী বলছেন, ‘ইন্ডিয়া প্লিজ একটু জল ছেড়ে দাও। আমি বোতলে একটু জল ভরে নিই।’ চোখে চশমা মাথায় টুপি পরা অবস্থায় একটি ছেলে তার ইনস্টা পোষ্টে বলছে, ‘দেখো ভারত, তুমি যদি পাকিস্তান দখল করে নাও, তাহলে কিন্তু আমাদের যা ঋণ আছে সেগুলো তোমাকেই শোধ করতে হবে আর ভারতের ক্রিকেট টিমে বাবর আজমকে নিতে হবে। দেখবে তখন তোমাদের টিমের কি খারাপ অবস্থা হয়।’ একটি বাচ্চা ছেলের ভিডিও ও বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে বাচ্চাটিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘জল বন্ধ হলে আমার কিছু যায় আসে না, আমি তো এমনিতেই স্নান করি না।’ ওহে পাক সেনাপ্রধান আসীম মুনীর, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ নাহয় পরে কোরো, আগে দেশের সাধারণ মানুষের ট্রোলের কি জবাব দেবেন সেটা ভাবুন।