ভারতের প্রবল চাপে পরাস্ত পাকিস্তান, ২২ দিন পর বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউয়ের মুক্তি। ২২ দিনের চূড়ান্ত উৎকন্ঠার অবসান। ভারতের প্রবল চাপের কাছে হেরে গিয়ে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে মুক্তি দিল পাকিস্তান।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: গত ২৩ এপ্রিল ফিরোজপুর বর্ডারে ডিউটি করার সময় পাক রেঞ্জারের হাতে বন্দি হন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম সাউ। জানা গেছে, ভুল করে পাকিস্তানের সীমান্তের একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাঁকে বন্দি করা হয়। তারপর থেকে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে বিএসএফ বাহিনী। কিন্তু কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। অবশেষে স্বস্তিতে পূর্ণমের পরিবার। সেনা সূত্রে খবর পূর্ণমকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আটারি সীমান্ত দিয়ে অমৃতসরে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। আইজি বিএসএফ পঞ্জাব ফ্রন্টিয়র জানিয়েছেন, আটারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তান পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। আপাতত শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত।
এই ক’টা দিন পূর্ণমের পরিবারের ওপর দিয়ে কোন ঝড় বয়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য। তার স্ত্রী অন্ত্ব:সত্ত্বা। তবু এই অবস্থাতেও স্বামীর মুক্তির জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন সব জায়গায়। চিন্তার প্রহর গুনেছেন তার বাবা-মাও। এই অবস্থায় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার স্ত্রী রজনীর। প্রায় পাঁচ মিনিট কথা হয় দুজনের মধ্যে। স্ত্রী রজনী জানান, তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন সরকারের কাছে। তাই তিনি কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে।মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা করছেন বলে জানান।
এতদিন ধরে পরিবারের সদস্যরা আশায় ছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনতে পারবে বিএসএফ। সম্প্রতি এক পাক রেঞ্জার্সকেও আটক করেছিল বিএসএফ ৷ ফলে মনে করা হয়েছিল, ওই পাক রেঞ্জার্সকে সামনে রেখে পূর্ণমকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে ৷ কিন্তু, ৭ইমে মধ্যরাতে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের মিসাইল হামলা, পরিবারের আশায় যেন জল ঢেলে দেয়। তারা ভেবেই নেন আর আশা নেই। আর পাকিস্তান ছাড়বে না পূর্ণমকে। তবে অবশেষে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ফের হার মানল পাকিস্তান।