তুরস্কের ইস্তানবুলে চলছিল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠক আর তার মধ্যেই আচমকা এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পুতিন, অপসারণ করলেন স্থলবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভকে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে চলা যুদ্ধের মধ্যে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে সেনাকর্তাকে অপসারণ করলেন পুতিন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতা করতে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদানের উপস্থিতিতে দুইপক্ষের প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্বও হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার এই যুদ্ধের ১১৭৭ তম দিনে সরকারি ভাবে ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে প্রথম বার দু’তরফের মুখোমুখি আলোচনা শুরু হয়েছিল আর তখনই এই সিদ্ধান্ত জানান পুতিন।
এরকম ঘটনা প্রথমবার নয়, ২০২৩ সালে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও রুশ সেনাদের দুর্দশা নিয়ে মুখ খুলতেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইভান পোপোভকে। রুশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনকেও বরখাস্ত করেছিলেন পুতিন। জানা যাচ্ছে যে, জেনারেল সালিউকভকে জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের উপসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই পর্ষদই জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা সংস্থা। পুতিনই পর্ষদের সভাপতি।
অন্যদিকে এই দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান চেয়ে এই বৈঠক নি:সন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্কের বৈঠকে রাশিয়ার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে ইস্তানবুলে পাঠিয়েছেন। জেলেনস্কি নিজে তুরস্কে হাজির থাকলেও এই আলোচনায় অংশ নেননি।