২০২৫ এ রেকর্ড পাশের হার উচ্চমাধ্যমিকের।এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। ছেলে পরীক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যায় ৪৭,৫৩৭বেশি। তবে পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরা।ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩% শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১২% শতাংশ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
দুমাসেরও কম সময় প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ৩ মার্চ থেকে আর পরীক্ষা শেষ হয় ১৮ মার্চ। সেই হিসেবে ৫০ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল সংসদ। কোভিডের তিন বছর বাদ দিলে সর্বকালের রেকর্ড সংখ্যার ছাত্র-ছাত্রী এবার পাস করেছে বলেই দাবি সংসদের। এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৪,৮২,৯৪৮ জন। পরীক্ষা দিয়েছে ৪,৭৩,৯১৯ জন। এরমধ্যে পাশ করেছে ৪,৩০,২৮৬জন।এর মধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩% শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১২% শতাংশ। এবারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা ৪৭,৫৩৭বেশি। এর পিছনে কন্যাশ্রীর ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান সংসদের কর্তারা। সেরা ১০ এ রয়েছেন ৭২ জন। এদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন একজন করে পড়ুয়া। প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুলের রূপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ অর্থাৎ ৯৯.৪ শতাংশ। দ্বিতীয় হয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট স্কুলের পড়ুয়া তুষার দেবনাথ। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ অর্থাৎ ৯৯.২ শতাংশ। তৃতীয় হয়েছে আরামবাগের আরামবাগ হাইস্কুলের রাজর্ষি অধিকারী, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। চতুর্থ হয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখি হাইস্কুলের সৃজিতা ঘোষাল, যার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
পাশের হারে প্রথম স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর। জেলায় পাশের হার ৯৫.৭৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা পাশের হার ৯৩.৫৩ শতাংশ ও তৃতীয় স্থানে কলকাতা পাশের হার ৯৩.৪৩ শতাংশ। যদি দেখা যায় তাহলে মাধ্যমিকের মত উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ফলাফলের নিরিখে সামগ্রিকভাবে জেলার জয় জয়কার।প্রথম দশে ৭২ জনের মধ্যে রয়েছে হুগলি থেকে রয়েছেন ১৪ জন পড়ুয়া। অন্যদিকে প্রথম দশে রয়েছে কলকাতার চার জন পড়ুয়া। বিজ্ঞান বিভাগ কলা বিভাগ এবং বাণিজ্য বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে বিজ্ঞান বিভাগে। অর্থাৎ বিষয়ভিত্তিক পাশের দিক থেকে দেখতে গেলে বিজ্ঞান বিভাগ এগিয়ে আছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৯.৪৬ শতাংশ। একইভাবে বাণিজ্য বিভাগে ৯৭.৫২ শতাংশ এবং কলা বিভাগে ৮৮.২৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছে।
মোট ৬২ টি বিষয়ে ১৫ টি ভাষায় পরীক্ষা হয়। মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৮২৭টি। বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪৭। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রাজ্যের ৬ হাজার ৭৯১টি স্কুলে হয়েছে।
এ বছরই পুরনো সিলেবাসে শেষ পরীক্ষাগ্রহণ। ২০২৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার। ২০২৫ এর তৃতীয় সেমেস্টার হবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ শে সেপ্টেম্বর। আর চতুর্থ সেমিস্টার হবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ এ ফেব্রুয়ারি। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের জন্য পুরনো সিলেবাসে পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে কোন পরীক্ষার্থী চাইলে নতুন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে পারে। তবে এরজন্য সংসদের কাছে আবেদন করতে হবে।