করোনা শব্দটা শুনলেই ভয়ের চোরা স্রোত শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায়। সেই লকডাউন সেই মৃত্যুমিছিলের দিন পেরিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও এই মুহূর্তে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছিল। এবার জানা গেল এই রাজ্যেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক জন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: পশ্চিমবঙ্গেও হদিশ মিলল একজন করোনা আক্রান্তের। যদিও এখন করোনা মুক্ত তিনি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের গোড়ায় আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে এক মহিলা শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। আইসোলেশনে এক সপ্তাহ রেখে ওই করোনা আক্রান্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই একজন ছাড়া এই মুহূর্তে এই রাজ্যে কোন করোনা আক্রান্ত না থাকলেও সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেশের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় কোভিড পজিটিভ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।দেশের মধ্যে ফের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত এই মুহূর্তে কেরালায়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ব়্যাপিড রেসপন্স টিমকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে সামান্যতম উপসর্গও চোখে পড়ছে তাদের টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে RT-PCR কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখতে বলা হয়েছে। কেরালার কোট্টায়াম জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭, এর্ণাকুলামে ৩৪ এবং তিরুবনন্তপুরমে ৩০।
করোনা বাড়ছে হরিয়ানাতেও। যা দেখে আগাম সতর্ক পাঞ্জাবও।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. বলবীর সিং সমস্ত হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, করোনার উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করাতে হবে। করোনা ধরা পড়লে ওই রোগীর পরিবারকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে পাঞ্জাবে আসা মানুষদের জন্যও আলাদা অ্যাডভাইজারি জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লিতেও বাড়ছে করোনার প্রকোপ। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যদফতর। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন কোভিডের শিকার। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরকার আটজনকে উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করেছে।