টিজারে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টি বেশ বেশ ভালো। তার প্রভাব আলাদাই পরে টিজার টাতে। ছবিটি মূলত একটি অ্যাকশন স্পেক্টকেল হতে চলেছে, সেটি এই ৯০ সেকেন্ডের টিজার খুবই ভালো ভাবে পরিষ্কার করে দেয়। এটির ট্রেইলার আসতে সময় আছে, আর মূল সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ।
চক্রযুদ্ধ ঘোষ- “মেরি নজর কবসে তুঝ পে হ্যা কবির. India’s বেস্ট সোলজার। র কা বেস্ট এজেন্ট…..তু থা, অব নহি” এন টি আর এই বড়ো ভয়েস ওভার টি শেষ হয়ে এই লাইন টি দিয়ে “গেট রেডি ফর ওয়ার”।এরপর শুরু হয়ে একের পর এক অ্যাকশন দৃশ্যর খেলা। ট্রেন, আকাশ, জল, স্থল, বরফ, বন্দুক, পৃথিবীর সব প্রান্তে, সব দেশে, দেখা গেলো হৃত্বিক আর এন টি আরের জম্পেশ লড়াই। সে এই সব জায়গায় কবির কে তাড়া করে বেড়াচ্ছে কেন? কবির কী এমন করলো? সেটা ঠিক বোঝা গেলো না। পরিচালক নিশ্চই গল্পের স্বার্থে খোলসা করেনি পুরোটা। এই কথা টা বলার একটাই কারণ – দর্শক প্রায় সব দৃশ্য টিজারে দেখে ফেলেছে। এরপর ট্রেইলার না এসে, ভালো হয়ে, যদি দর্শক সোজাশুজি বড়ো পর্দায় বাকি টা দেখুক।
এই দুই তারকার ভিড়ে ঢাকা পড়েছে কিয়ারা আদভানি। তার জীবনের প্রথম বিকিনি শট টিজারে আছে, আর তার সাথে হৃত্বিকের একটি নাচের দৃশ্য ও আছে, কিন্তু এর বেশি তার কিছুই করার নেই। তার চরিত্রের ঠিক কতটা গুরুত্ব থাকবে সিনেমাটিতে, তা সময় বললেও, টিজার থেকে এটা পরিষ্কার, যে দক্ষিণ আর উত্তরের লড়াইয়ের আগুনে তিনি একটি আগুনের ফুলকি হয়েই থাকবে।
এন টি আরের স্ক্রিন প্রেজেন্স বেশ ভালো। তিনি নিজের সব টুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে গ্রিক গডের সামনে দাঁড়ানোর। সে শুধু দাঁড়ায়নি, কিন্তু কিছু দৃশ্য তে, সে হৃত্বিকের সমান দর্শকের মন কেড়েছে। কিন্তু এটাও বলা উচিত যে সে কোনো ভাবে হৃত্বিক কে ছাপিয়ে যায়নি। তার এন্ট্রির দৃশ্য টি মানানসই। কিন্তু তার চোখের এক্সপ্রেশনে, ও তার হাঁটার ধরণে, সে তার দক্ষিনি স্টাইল কে বিদায় দিয়ে, বলিউডি স্টাইল রেখেছে, এটি প্রশংশোনীয়। তার ভক্তদের জন্যে এটি একটি নতুন পাওনা।
হৃত্বিক কে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। সে এই ফিল্মের আসল নায়ক, আর সে সেটা প্রত্যেক ফ্রেমে প্রমান করে দিয়েছে। তার রোমান্সসের দৃশ্যতে, কিয়ারার সাথে চোখাচোখির ফ্রেমটি বেশ সুন্দর। তার চোখের চাওনি আর এন টি আরের চাওনির মধ্যে বেশ ফারাক আছে, আর যেটিতে হৃত্বিক রোশান তাকে দশ গোল দিয়ে দিয়ে দিয়েছে।
টিজারের কিছু দুর্বল দিকের মধ্যে আছে এটির vfx। বেশ কিছু দৃশ্য তে ধরা পরে গ্রীন স্ক্রিন তৈরী ব্যাকগ্রাউন্ড। তাদের লড়াই দৃশ্য গুলিতে বেশ দুর্বল vfx, খামতি হিসাবে চোখে পরে। বরফের দৃশ্য টি কে ছবির মুক্তির আগে আরও ভালো করতে হবে, সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এন টি আরের ট্রেনের উপর দিয়ে দৌড়ানোর দৃশ্য টি বেশ দুর্বল vfx- এর প্রমান। হৃত্বিকের ইতালির কিছু শটেও দেখা গেলো দুর্বল vfx।
টিজারে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টি বেশ বেশ ভালো। তার প্রভাব আলাদাই পরে টিজার টাতে। ছবিটি মূলত একটি অ্যাকশন স্পেক্টকেল হতে চলেছে, সেটি এই ৯০ সেকেন্ডের টিজার খুবই ভালো ভাবে পরিষ্কার করে দেয়।
এটির ট্রেইলার আসতে সময় আছে, আর মূল সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ। সময় এটা বলবে না যে এই ফিল্মটি হিট হবে না ফ্লপ, কারণ প্রথম দিন, এই ফিল্মটি এই বছরের সব থেকে বেশি টাকা কামাতে পারে, কিন্তু সময় বরং এটা বলবে যে এটির মান কেমন হবে।