দেবাশীষের পর এবার কোপ অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়ার ওপরেও। অভয়া আন্দোলন যাদের হাত ধরে এতটা এসেছিল তাদের মধ্যে এই তিন জনই ছিলেন অগ্রণী। আর সেই কারণেই কি এই তিনজনের বদলি ঘিরেই এত বিতর্ক? ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য সচিবের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন তারা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম তিন মুখ অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়া। একইদিনে তিন চিকিৎসককে বদলির নির্দেশ। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ হবার পর কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দেবাশিসকে পাঠানো হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। হাওড়া থেকে আচমকা তাঁকে বদলি করা হয় মালদায়। কাউন্সেলিংয়ে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে হাওড়া জেলা হাসপাতালকে বেছে নিয়েছিলেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালে তাঁর যোগ দেওয়ার অর্ডারও বেরিয়ে যায়। কিন্তু জয়েনিং অর্ডারে দেখা যায়, হাওড়া জেলা হাসপাতালের পরিবর্তে তা হয়ে গিয়েছে মালদার গাজলের মহকুমা হাসপাতাল। ৬৭৮ জনের তালিকায় একমাত্র দেবাশিস হালদারের পোস্টিংয়ের জায়গা বদল হয়েছে। চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে প্রতিহিংসা। একই ঘটনা ঘটল অনিকেত এবং আসফাকুল্লার সঙ্গেও।
একই রকম ভাবে কাউন্সেলিংয়ের সময়ে অনিকেত, আসফাকুল্লা জানান, তারা যথাক্রমে আরজি করে এবং আরামবাগ হাসপাতালে পোস্টিং চান। সেইমতো সেই হাসপাতালে যোগ দিতে চেয়ে বন্ডেও সই করেন অনিকেতরা। অভিযোগ, মেধাতালিকা বেরোনোর পর দেখা যায়, দেবাশিসের মতো পোস্টিং বদলে গিয়েছে তাদেরও! আরজি করের পরিবর্তে অনিকেতকে পাঠানো হয়েছে রায়গ়ঞ্জে, আর আসফাকুল্লার পোস্টিং হয়েছে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যাকে কেন্দ্র করে ঝড় বইছে।
এভাবে আচমকা অন্যত্র পাঠানোর কারণ জানতে এদিন স্বাস্থ্যভবনে যান অনিকেতরা কিন্তু স্বাস্থ্য সচিব দেখাই করেননি তাদের সাথে। তাঁর ঘরের বাইরে সবাইকে আটকে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন অনিকেতরা। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। আসফাকুল্লা স্পষ্ট জানিয়েছেন মেধাতালিকাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। এত জনের মধ্যে মাত্র কেন তিন জনের পোস্টিং বদলে গেল?