বুধবারের পর বৃহস্পতিবার। হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে চলে যান চাকরি হারা শিক্ষকরা। যদিও পুলিশ আগেই তাদের আটকে দেয়।এদিকে কালীঘাটের মতো নবান্নেও যাতে হঠাৎ করে তারা (চাকরি হারা শিক্ষকরা) ঢুকে না পড়েন, তার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবান্নে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ কড়াকড়ি শুরু পুলিশের।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- এমনিতে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নের চৌহদ্দিতে সর্বক্ষণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কর্মিদের বিশেষ সিকিউরিটি চেকিং এর পরই নবান্নে প্রবেশে ছাড়পত্র মেলে। তবে এদিন নবান্নে প্রবেশের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কড়াকড়ি দেখা গেল। যারা কর্মসূত্রে প্রতিদিন নবান্নে আসেন, এদিন তাঁদেরও ব্যাগ পত্তর তল্লাশি সহ আই কার্ড চেকিং করার পরই নবান্নে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলেছে। নবান্নে প্রবেশের যে কটা গেট রয়েছে, প্রতিটা গেটের সামনেই এক ছবি। কর্মিদের প্রবেশের গেট ছাড়া যারা বিভিন্ন কাজ নিয়ে নবান্নে আসেন (সাধারণ মানুষ), তারা মূলতঃ ‘ভি আর গেট’ দিয়ে নবান্নে প্রবেশ করেন।সেখানে তাদেরকে প্রয়োজনীয় ‘ফ্রিস্কিং’ (দেহ তল্লাশি) এর পরই নবান্নে প্রবেশের প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়। এদিকে বৃহস্পতিবারই চাকরি হারা দের একটি প্রতিনিধিদল (চার জনের) নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন বলে খবর।
বুধবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বেশ কিছু চাকরি হারা শিক্ষক। বৃহস্পতিবারও কয়েকজন অনুরূপ চেষ্টা করেন। দুই দিনই পুলিশ তাদের অনেকটা আগেই আটকে দেয়। তবে যেভাবে পর পর দিই দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে হঠাৎ করে চাকরি হারা শিক্ষকরা চলে গিয়েছেন, ফলে পুলিশ মনে করছে যে আগে থেকে কিছু না জানিয়ে তারা(চাকরি হারারা) এইভাবে হঠাৎ করে নবান্নেও চলে আসতে পারেন। ফলে সেই আশঙ্কায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানালেন, কিছুই বলা যায় না। আমরা প্রতিদিন যেভাবে চেকিং করি আজকেও তাই করছি। তবে একটু বেশি সতর্ক আছি সেটা বলতেই পারেন।