সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম আর এই ঘুমের অভাবেই আপনি হতে পারেন নানান রোগের শিকার। সারাদিনের ক্লান্তি দুর করতে,চনমনে ভাব বজায় রাখতে,শরীরের নানান অঙ্গের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ঘুম দরকার তাও পর্যাপ্ত।অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুমের সময় পান না আবার অনেকেরই ঘুম আসে না। নানান জটিল রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- ঘুম কম হওয়াকে অনেকেই সমস্যা হিসেবে দেখতে নারাজ।কিন্তু জানেন কি এই সমস্যা কিওর করা সম্ভব। আমাদের স্বাস্থ্য এবং দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করে ঘুম।সহজেই চিকিৎসাযোগ্য। ছোটবেলায় যত সহজে ঘুমোনো সম্ভব হতো,বয়স সাথে সাথে সাথে সে অভ্যেস এর পরিবর্তন হয়,কমে যায় ঘুম।ছোটরা 12 থেকে 16 ঘণ্টা ঘুমোতেই পারে, কিশোর কিশোরীদের জন্য 9 ঘণ্টা সর্বোত্তম। সর্বসাধারণের জন্য 6 ঘণ্টা ঘুম কেই পর্যাপ্ত বলেন চিকিৎসকরা। ঘুমের অভাবের কারণ বহুমুখী। জীবন দারুন লাগে স্বগত কারণে প্রভাবিত হয় ঘুম। এমনকি মোবাইলে আসক্তির কারণেও ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে । নানান রোগ ব্যাধির কারণেও ঘুমিয়ে পরিমাণ কমতে পারে।
এমনকি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাবার প্রবণতা পাল্টালেও অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে প্রভাব পরে স্বাস্থ্যের ওপর।হদরোগের ঝুঁকি বাড়ে,নার্ভের ওপর প্রভাব পড়ে এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি বাড়ে।মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়,দেখা যায় উদ্বেগ, নেশার প্রবণতা বাড়ে।5 ঘণ্টা বা তার কম ঘুম যুক্ত মানুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। অনিদ্রার অন্যতম লক্ষণ গুলি হল ক্লান্তি ,শক্তির অভাব ,মনোযোগের অভাব ,বিরক্তি ঘুমের ব্যাঘাত মানসিক রোগের লক্ষণ। পারকিনসন্স রোগের প্রবণতাও বৃদ্ধি পায় ঘুমের অভাবের কারণে। মৃগিরোগও বাড়তে পারে ঘুমের অভাবে কিছু কিছু রোগীদের অন্যান্য ব্যবহৃত ওষুধ ঘুমের অসুবিধে তৈরি করতে পারে। এপিলেপসি বা ব্যবসায় মৃগী রোগের লক্ষণ ও বাড়তে পারে ঘুমের অভাবে।শরীরে হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। ঘুমের অসুবিধে চিকিৎসাযোগ্য। তাই সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের অভাব অনেক সময় আরো জটিল থেকে জটিলতার রোগের দিকে মানুষকে নিয়ে যেতে পারে।