দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আপার প্রাইমারির নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি একই সময় প্রকাশিত হয়। আবেদনকারীরা দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে দুটিতেই কৃতকার্য হয়েছিল।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ–পরবর্তীতে নবম দশম একাদশ দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগেই সম্পন্ন হযেছিল ।তাই সেখানে তারা নিয়োগপত্র পায় এবং শিক্ষকতা কাজে যোগ দেন। ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে যায়। সুপ্রীম নির্দেশে বলা হয়েছিল যারা আগের সার্ভিস থেকে এসেছিলেন, তারা পূর্বের সার্ভিস বা চাকুরীতে ফিরে যেতে পারবেন।
মামলাকারী অন্বেষা মুখার্জি সহ ৬০০ জনের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান যে, মামলাকারিরা আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকা স্থান পাওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ইন সার্ভিস হিসাব দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অথচ একই ইস্যুতে যারা নবম দশম একাদশ দ্বাদশে কর্মরত ছিল তাদেরকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
নবম দশম একাদশ দ্বাদশে চাকরি চলে যাওয়ার পরে তারা আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন অথচ একই সূত্রে মামলাকারীদের ২০১৫ সালে বাতিল হওয়া রুল দেখিয়ে তাদেরকে ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ২০১৬ সালে নিয়োগ সংক্রান্ত আইনে ইন সার্ভিসরা বসতে পারেনা এমন কোন নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে বলে অভিযোগ।
এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যারা উচ্চ পদে চাকরি করবে, তারা আপার প্রাইমারিতে বসতে পারবে না তাহলে প্রশ্ন একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএসসির এই দুই অবস্থান কেন? এবং একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের মনোনীত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে অথচ যারা মেধা তালিকায় বা ইন্টারভিউ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল তাদেরকে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
মামলাকারীরা আপার প্রাইমারিতে প্রথম ও দ্বিতীয়বার ইন্টারভিউ লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাই এ বিষয়ে উল্লেখ করে। সুপ্রিম কোর্টের ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সুবিধা পাবার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও মেলেনি কোন সুরাহা, অবশেষে মামলাকারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
এসএসসির ভুলে যেহেতু চাকরি গেছে । ভুল সংশোধন করে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ যেহেতু এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি হারাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদেরকেও নিয়োগ দেওয়া হোক। গ্রীষ্মের অবকাশকালীন পর দ্রুত এই মামলার শুনানি গ্রহণ করা হবে।