সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩০ শে মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মে-এর মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। ৩০ শে মে শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসির নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন।
সেই ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ শে মে এসএসসি-র তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। সেদিন তিনি জানান, অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ১৪ জুলাই। পরীক্ষা, স্ক্রুটিনি, ইন্টারভিউয়ের পর আগামী ১৫ নভেম্বর প্যানেল প্রকাশ করা হবে। সেই অনুযায়ী কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর থেকে। এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিহারাদের যোগ দেওয়ার আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে এটাও জানান রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে রাজ্য সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে এসএসসির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আগামী ১৬ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এই অনলাইনে আবেদন করার শেষ তারিখ ১৪ জুলাই। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করলে পরীক্ষার্থীদের জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা। আবেদন ফি ৫০০ টাকা সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য। অন্যদিকে তফসিলি জাতি, উপজাতি বা প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের দিতে হবে ২০০ টাকা। পরীক্ষায় বসার ফি জমা দিতে হবে ১৪ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে লিখিত পরীক্ষা হতে পারে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ সম্ভাব্য তারিখ অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। ইন্টারভিউয়ের সম্ভাব্য সময় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহ। এবং প্যানেল প্রকাশিত হবে ২৪ নভেম্বর। কাউন্সেলিং এবং নিয়োগের প্রস্তাব সংক্রান্ত ঘোষণা হতে পারে ২৯ নভেম্বর। এই নিয়োগের পরীক্ষায় চাকরিহারাদের পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একই চাকরির জন্য বারবার একই পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারারা। মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষায় বসার আবেদনও অসন্তুষ্ট চাকরিহারারা। রাজ্য সরকারের কাছে চাকরি হারাদের আবেদন রিভিউ পিটিশনকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবং স্বসম্মানে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই দাবিতেই আন্দোলনে অনড় চাকরিহারারা।