রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের করা ডিএ(DA) মামলা বেশ কয়েক বার পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হলো। শুনানি শেষে কিছুটা আশার আলো দেখছেন বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এদিনের শুনানিতে রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছে যাতে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার অন্তত ২৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়া হয়।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত হারে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই বকেয়ার অন্তত ৫০ শতাংশ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল বলেন, এতদিন ধরে এই মামলা চলছে। সব কোর্টই বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দিয়ে দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে। তাই যতদিন না শুনানি শেষ হচ্ছে ততদিন আপাত ব্যবস্থা হিসাবে ৫০ শতাংশ ডিএ দিয়ে দেওয়া উচিৎ।
কিন্তু কোর্টে উপস্থিত রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন এত টাকা দিতে গেলে রাজ্যের মাজা ভেঙে যাবে। রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা ভালো নয়। রাজ্য সরকারের কৌঁশুলির এই দাবি মানেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে মাঝামাঝি একটা অবস্থান নিয়ে আপাতত বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার ২৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিদ্বয়, যা আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে কর্মচারিদেরকে দিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে কোর্ট।
বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন এই পরামর্শ দেয় আদালত। এতে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ যে বেশ খানিকটা বাড়ল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের একাংশ। রাজ্য সরকারের তরফে বর্ষীয়ান কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এ দিন অনুপস্থিত থাকায় তাঁর বদলে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী হুজ়েফা আহমেদি।
এ দিন মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়নি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগস্ট মাসে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরের পর থেকে বার বার এই সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে শুক্রবার মামলাটি ওঠে শীর্ষ আদালতে। আদালত জানায়, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে কোনও ভুল নেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে পরিমাণ বকেয়া মহার্ঘভাতা রয়েছে, তার মধ্যে আপাতত ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে বাকিটা দেখা যাবে।