এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই পাখির চোখ ২৬সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যেই বঙ্গট্রেনে উঠে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তিনি ফেরার পর এবার শনিবার একদিনের রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, বঙ্গে ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সেই মোতাবেক শনিবার বিকালেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী ফিরে যেতে না যেতেই এই শাহি সফর ঘিরে বিজেপি কর্মীরা উত্তেজিত স্বাভাবিক ভাবেই। দলকে কি ভোকাল টনিক দেন শাহ, তা জানতে উদগ্রীব গেরুয়া শিবির।
জানা গেছে শনিবার রাতে সাড়ে নটা নাগাদ বিএসএফের বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন অমিত শাহ। রবিরার প্রথমে রাজারহাটে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন। ওই অনুষ্ঠানের পর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির সাংগঠনিক সভায় যাবেন তিনি। বিকেলে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয় সাধু-সন্তদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। রবিবার বিকেলের বিমানে কলকাতা থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। অর্থাৎ একদিনের সফর হলেও সারাদিন ঠাসা কর্মসূচী রয়েছে তাঁর।
এই মুহুর্তে মূলত ৩টি বিষয়কে সামনে রেখেই নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। প্রথমত, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার সাফল্য, দ্বিতীয়ত, তৃণমূলকে বিঁধতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এবং ২৬ হাজার চাকরিহারার যন্ত্রণা তুলে ধরা এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগকে সামনে রেখে আরও জোরদার প্রচার চালিয়ে হিন্দু ভোট এককাট্টা করা। এই মুহূর্তে চাকরি ইস্যুকে সামনে রেখেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে বিজেপি তার ওপর পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করার এত বড় সাফল্যও দলকে দিচ্ছে বাড়তি অক্সিজেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আলিপুরদুয়ার থেকে প্রায় ৩২ মিনিটের বক্তৃতায় এই ৩ বিষয়ের উপরই জোর দিয়েছেন। তাই মনে করা হচ্ছে আবারও সেই সুরেই সুর মেলাতে পারেন অমিত শাহ।
তবে এর পাশাপাশি তিনি অবশ্য বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে নানা নির্দেশিকাও দিতে পারেন শুভেন্দু-সুকান্তদের। প্রধানমন্ত্রীর আলিপুরদুয়ারের সভায় দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। অমিত শাহের সাংগঠনিক সভায় তাঁর স্থান হয় কি না, সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের। যদিও শোনা যাচ্ছে তিনি আমন্ত্রণই পাননি। পাশাপাশি, নয়া সভাপতি নির্বাচন নিয়েও শাহের এই সফরে আলোচনার বিস্তর সম্ভাবনা।